রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জনসংযোগ দফতরে অনুসন্ধান কাম তথ্য কর্মকর্তা পদে রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশেদ রাজনের অ্যাডহক নিয়োগে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য বলেন, “এই নিয়োগ সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে হয়েছে, এখানে কোনো কোটার বা সমন্বয়কের প্রশ্ন নেই। নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে থাকবেন, না হলে বাদ পড়বেন।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, উপাচার্য ছয় মাসের জন্য অস্থায়ী নিয়োগ দিতে পারেন। এটি রুটিন কাজ। বর্তমানে দুই শতাধিক অ্যাডহক কর্মকর্তা কর্মরত আছেন, অথচ কয়েকটি নিয়োগ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
উপাচার্য জানান, তার সময়ে আইসিটি সেন্টার, মেডিকেল সেন্টার ও জনসংযোগ দফতরে মোট চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আইসিটি সেন্টারে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে তার কোনো পূর্বপরিচয় নেই এবং পরিচালক তাদের দক্ষ মনে করেই নিয়োগ দিয়েছেন।
রাশেদ রাজনের নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচার-প্রসার বাড়াতে দ্রুত একজনকে বাছাই করা হয়েছে। আরও যোগ্য ব্যক্তি থাকতে পারেন, তবে কোনো অনিয়ম হয়নি।”
এর আগে, সোমবার (৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে রাশেদ রাজনের ছয় মাসের জন্য নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।