আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ৬, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Arrest of education stipend fraud 8

শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৮

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:২৮ এএম

শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৮
শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৮

রাজশাহী ব্যুরো

শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নামে বিভিন্ন ক্রেডিট কার্ড/ডেবিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে মূলহোতাসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-৫, ৪, ৮, ১০, ১১ ও ১৪ এর যৌথ অভিযানে ঢাকা, জামালপুর, রাজশাহী, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা ও ফরিদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল সোমবার দুপুরে র‌্যাব-৫ এর সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাব-৫ জানায়, গত ২৪ মার্চ সকালে নগরীর শালবাগান এলাকায় এক ব্যক্তির (বাদী) ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নম্বর থেকে ভুক্তভোগীর মেয়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাউন্টেট শাখায় কর্মরত মো. মিজানুর রহমান বলে পরিচয় দিয়ে তার মেয়ের এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ায় শিক্ষা উপবৃত্তির ২২ হাজার ৫০০ টাকা এসেছে বলে জানায়। এই টাকা বাদীর একাউন্টে চলে যাবে মর্মে একটি ব্যাংকের এটিএম কার্ডের ষোল ডিজিটের নাম্বার দিতে বললে তিনি তার ষোল ডিজিটের নাম্বার প্রদান করলে একটি ওটিপি যাবে বলে জানায়। পরবতীতে বাদী মোবাইল মেসেজ অপশনে দেখতে পায় একাউন্ট থেকে চারবারে ১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে অজ্ঞাতনামা

ব্যক্তিরা নিয়ে যায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই ঘটনায় বাদী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আরএমপির বোয়ালিয়া মডেল থানার মামলা (নং-৩৯) দায়ের করেন। র‌্যাব-৫, নগরীর রাজপাড়ায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষা উপবৃত্তি টাকা দেয়ার নাম করে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতারনার কাজে জড়িত শামীম হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করে। শামীম টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা। গ্রেপ্তার শামীমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন কোম্পানীর সীম কার্ডসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করে।

এসময় শামীম জানান, প্রতারণা চক্রের সদস্য ফরিদপুরের মৃত জয়নুদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (৩৪), বর্তমানে জামালপুরে অবস্থান করছে। পরবর্তীতে আসামী জিহাদকে বিপুল পরিমাণ সীম কার্ডসহ জামালপুর জেলার সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, তাদেরকে এই চক্রের সদস্য কুমিল্লার কাজী তাজলু ইসলামের ছেলে কাজী সাদ্দাম হোসেন ওরফে আমির হামজা (২৬) কুমিল্লার বিভিন্ন বেনামী রেজিস্ট্রেশনকৃত সীম কার্ড সংগ্রহ করে দেয়। পরবর্তীতে আমির হামজাকে কুমিল্লা জেলার হোমনা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে, একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানীর সীমকার্ড ক্রয়-বিক্রয় কাজে নিয়োজিত গোপালগঞ্জের আবদুল গাজীর ছেলে আহাদ গাজীকে (২৪) নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত জিহাদ ও শামীমের দেওয়া তথ্যে ফরিদপুরের জয়নাল ফকিরের ছেলে ফিরোজ রহমান ওরফে জয়কে (২৬) ঢাকার কাফরুল থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোস্তাফিজুরের দেওয়া তথ্য মতে ফরিদপুর জেলার ভাংগা থানা এলাকা থেকে আসামি বাপ্পি মোল্লাকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ফরিদপুরের খোকন মোল্লার ছেলে।

তাদের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুিক্তর সহায়তার মাধ্যমে ফরিদপুরের দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে জাকির হোসেন হাওলাদার (৪৭) ও এবাদত মোল্লার ছেলে উসমান গনি মোল্লাকে (৩৩) জেলার ভাংগা থানা এলাকা হতে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৫ এর সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আসামিদের নিকট থেকে মোট ২৩টি মোবাইল সেট, ৩১০টি সীম কার্ড এবং নগদ তিন লাখ এক হাজার দুই শত সত্তর টাকা ও ৯টি ব্যাংক লেনদেন স্লিপ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ, ডিএমপি-এর ডেমরা থানা, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা, ডিএমপি এর ক্যান্টনমেন্ট থানার জিডি ও মামলা হয়েছে। আর গ্রেপ্তারদে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‌্যাব।


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0