জেলা শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হয়। ফলে গাড়িগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা যায়। এ কারণে সকাল থেকে শহরসহ জেলার সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা ও দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল রয়েছে সীমিত।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন শাখার চালক মো. ইলিয়াস কাঞ্চন  বলেন, ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা। এত কুয়াশা আমি আর কখনো দেখিনি। কুয়াশায় গাড়ির একটু সামনেই দেখা যাচ্ছে না তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমতে শুরু করেছে।  

পৌর শহরের রিকশাচালক আলাউদ্দিন  বলেন, রিকশা না নিয়ে বের হলে পেট চলবে না। আমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে। এই রিকশা চালিয়ে ৬ সদস্যের পরিবার চালাতে হয়। তাই প্রতিদিন খুব ভোরেই রিকশা নিয়ে শহরে আসি। 

সুবর্ণচর উপজেলার কৃষক আমির হোসেন  বলেন, কুয়াশার জন্য জমিতে যেতে পারছিলাম না। তারপরও দেখে আসছি আবাদি জমিগুলো। ঘন কুয়াশায় সরিষা ও মুগডাল দেখতে অসাধারণ লেগেছে। তবে কুয়াশা অব্যাহত থাকলে আমাদের ফসলের ক্ষতি হতে পারে। 

জেলার সদর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী লাল সবুজ পরিবহনের চালক মো. শরিফুল ইসলাম  বলেন, ঘন কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানো ঝুঁকি, তাই ঝুঁকি এড়াতে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে।

জেলা শহরের বাসিন্দা আবদুল বারী বলেন, ভোরে প্রচুর কুয়াশা থাকে। সুর্যের দেখা পাওয়া যায় দুপুরে। দিন দিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কমেনি। ছিন্নমূল ও অসহায় নিম্নআয়ের মানুষ দুর্ভোগে রয়েছে।

নোয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালীতে আজ সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সপ্তাহ জুড়ে শীতের দাপট থাকবে। যদি বৃষ্টির হয় তাহলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান  বলেন, শীতে যেন কোনো অসহায় মানুষ কষ্ট না পায় সেজন্য আমাদের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ কম্বল বিতরণ করছেন। আমি নিজেও রেলস্টেশনসহ বিভিন্নস্থানে কম্বল বিতরণ করেছি। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আমি মনে করি প্রতিটি সচ্ছল মানুষের উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

ক/টু/বি