আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, বুধবার, মে ১, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Boro rice cultivation

হাওরে ডুবছে শত কৃষকের স্বপ্ন

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:২৯ এএম

হাওরে ডুবছে শত কৃষকের স্বপ্ন
হাওরে ডুবছে শত কৃষকের স্বপ্ন। ....সংগৃহীত ছবি

 টানা বৃষ্টিপাত ও পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসময়ে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে হাওরের বোরো ধান। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরের কৃষকরা। ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকশত একর কাঁচা ধান। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগ।

আর কদিন পর পাকা ধান ঘরে তোলার কথা ছিল কৃষকদের কিন্তু সেখানে পানিতে ডুবে যাওয়া কাঁচা ধান কাটতে কাজ করছেন কৃষকেরা। তাও সেটা গরুর খাবারের জন্য। সুনামগঞ্জ শহর, বরদই বিলের পানি ও বৃষ্টির পানিতে হাওরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় কয়েক শত একর কাঁচা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। বেঁচে থাকার তাগিদে দরিদ্র কৃষকরা ও গবাধিপশুর ঘাসের জন্য কিছু কৃষক পানি থেকে কাঁচা ধান কেটে তোলছেন। কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বিপাকে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবার এই হাওরে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে এবং ধানের ফলনও ভাল হয়েছিল কিন্তু বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে দেখার হাওরের সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাজ, কলাউড়া, ইছাগড়ি, হুরমত নগর, রউয়ারপাড়, গুয়ারছড়া, হরিপুরসহ ৭টি গ্রামের কয়েক শত কৃষকের ৫০০ হেক্টরেরও বেশি কাঁচা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। 

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী। মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুধে টাকা এনে ২০ একর জমিতে করেছিলেন বোরো ধান। পরিশ্রমে ফলানো সেই ধান আর কয়েকদিন পর ঘরে তোলার কথা থাকলেও গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। তাই কোমরপানিতে নেমে আধাপাকা ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ইউসুফ আলী বলেন, আমার স্বপ্নের ফসল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। ছেলে মেয়ে এবং ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবো সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

হাওরপাড়ের কৃষকরা বলেন, অনেক কষ্ট করে ফসলের আবাদ করেছিলাম, কিন্তু ফসল পুরোপুরি পাকার আগেই বৃষ্টির পানিতে হাওরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ধান তলিয়ে গেছে। এখন এই ধানগুলো কোনো রকমে পানির নিচ থেকে তুলছি গবাদিপশুর খাবার হিসেবে।

সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্ঠা করা হবে।

দেখার হাওরে যে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সেটি নিষ্কাশনের জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। সেইসঙ্গে যাদের ফসল তলিয়ে গেছে তাদের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বললেন, দেখার হাওরের জল পানি নিষ্কাশনের জায়গাটি পরিদর্শন করে সমাধানের যোগ্য হলে সবোর্চ চেষ্টা করা হবে পানি নিষ্কাশনের।



google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0