আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Rules of Shabbat prayer

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম আছে কি?

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ১১:১৪ এএম

শবে বরাতের নামাজের নিয়ম আছে কি?
.....প্রতীকী ছবি

শবে বরাত বা নিফসে শাবানে ইবাদতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। এ রাতের যত ইবাদত আছে সবই নফল। শবে বরাতের বিশেষ কোনো ফরজ, ওয়াজিব বা সুন্নতে মুয়াক্কাদা ইবাদতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়নি।

কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলেমরা শবে বরাতে কোরআনে কারিম তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া-ইস্তেগফার এবং নফল নামাজ পড়ার কথা বলেন। 

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে দীর্ঘ সময় নিয়ে নফল নামাজ পড়েছেন বলে হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। নির্দিষ্ট বা আলাদা কোনো নিয়মে এই রাতে আল্লাহর রাসূল ও সাহাবিদের থেকে নামাজ বা অন্য ইবাদতের কথা প্রমাণিত নয়। 

তবে এই রাতকে ঘিরে বিভিন্ন বই-পুস্তকে নামাজের নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন লেখা আছে অর্থাৎ এতো রাকাত নামাজ পড়তে হবে, প্রতি রাকাতে এই এই সূরা এতোবার পড়তে হবে- এগুলো ঠিক নয়। হাদিস শরিফে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই, এগুলো মানুষের মনগড়া পন্থা।

শবে বরাতে কেউ নফল নামাজ পড়তে চাইলে তার নিয়ম হলো, অন্য নফল নামাজের মতোই দুই রাকাত করে নামাজ পড়া। প্রতি রাকাতেই সূরা ফাতেহার পর পবিত্র কোরআনের যে কোনো সুরা পড়া। এরপর যথানিয়মে রুকু-সিজদা করা এবং অন্য রুকনগুলো আদায় করা। এভাবে দুই রাকাত নামাজ শেষ করা। 

দুই বা চার রাকাত নামাজ পড়ার পর কিছু সময় দোয়া-দরুদ, তাসবি-তাহলিল পড়া, জিকির করা, কোরআন তেলাওয়াত করা। এরপর আবার নামাজে দাঁড়ানো। নামাজের পর আবার জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াত, তাওবা-ইস্তেগফার করা, দীনি আলোচনা শোনা, কোরআন-হাদিসের ব্যাখ্যা পড়া ইত্যাদি।

এভাবে সাধ্য অনুযায়ী যত রাকাত নামাজ পড়া যায় পড়তে পারেন। রাকাতেরও নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নেই। পবিত্র কোরআনে যথাসাধ্য নফল ইবাদত করার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সাধ্যের বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে দেন না। 

ই নিয়মটি এজন্য বলা হলো যে, একাধারে একটি আমল করতে থাকলে হয়তো কারো কারো একঘেয়েমি আসতে পারে, তাই পরিবর্তন করে আমলগুলো করে এই বরকতময় রাতটি ইবাদতে কাটিয়ে দেওয়া সহজ হবে।

তবে শবে বরাতে নফল নামাজ, ইবাদত-বন্দেগির ব্যাপারে বাড়াবাড়ি-ছাড়াছাড়ি কোনোটাই করা যাবে না। কারণ, ইসলামে নফল নামাজ পড়ার নির্দিষ্ট নিয়ম বানিয়ে নেওয়া সম্পূর্ণ নতুন আবিষ্কৃত বিদআত। এ ব্যাপারে সব যুগের সব আলেম একমত। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের সাহাবায়ে কেরাম কখনো তা পড়েননি। এ রাতে যেহেতু দীর্ঘ সময় পাওয়া যায়, তাই ফজিলতময় নামাজ সালাতুত তাসবিহ পড়া যেতে পারে। এই নামাজ জীবনে একবার হলেও পড়ার তাগিদ রয়েছে। (আবু দাউদ, হাদিস ১২৯৭, ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৩৮৭, বায়হাকি কুবরা, হাদিস ৪৬৯৫)


বিবিএন / অচ

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0