আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Atonement for fasting

নারীরা যেভাবে রোজার কাফফারা আদায় করবেন

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল, ২০২৪, ০২:৩৯ এএম

নারীরা যেভাবে রোজার কাফফারা আদায় করবেন

নির্ধারিত কিছু শর্ত ও রোকন আদায়ের মাধ্যমে রোজা সম্পন্ন করতে হয়। এসব শর্ত ও রোকন পাওয়া না গেলে রোজা ভেঙে যায় এবং তা বাতিল বলে গণ্য হয়। শরিয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়া কোনো ব্যক্তির জন্য রোজা ভঙ্গ করা কবিরা গুনাহ। ইসলামী শরিয়তে রোজা ভঙ্গ করার প্রতিবিধান রাখলেও তার শত ভাগ ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়।

আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি (শরিয়ত অনুমোদিত) কোনো কারণ ছাড়া বা রোগ ছাড়া রমজান মাসের একটি রোজা ভেঙে ফেলে, তার পুরো জীবনের রোজা দিয়েও এর ক্ষতিপূরণ হবে না। যদিও সে জীবনভর রোজা রাখে। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭২৩)

কিছু কিছু কারণে রোজা ভাঙলে শুধু কাজা করতে হয়। আর কিছু কিছু কারণে রোজা ভাঙলে প্রতিবিধান হিসেবে কাজা ও কাফফারা (ক্ষতিপূরণ) উভয়টি আদায় করতে হয়। 

এমন কারণগুলো হলো স্ত্রী-সম্ভোগ ও ইচ্ছাকৃত পানাহার। কেউ যদি ইচ্ছা করে রমজান মাসের দিনের বেলা স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করে অথবা পানাহার করে তবে তার রোজা ভেঙে যাবে। তার প্রতিবিধান হিসেবে ব্যক্তিকে রোজার কাজা ও কাফফারা করতে হবে। 

রোজার কাফফারা হলো দুই মাস লাগাতার রোজা রাখা। আর দুই মাস রোজা রাখতে ব্যর্থ হলে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা পেট ভরে খানা খাওয়ানো অথবা ৬০ জন মিসকিনকে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ গম, আটা, চাল ইত্যাদি অথবা সমপরিমাণ নগদ টাকা দিতে হবে। একজন মিসকিনকে ৬০ দিন দুই বেলা খাওয়ালেও কাফফারা আদায় হয়ে যাবে। (আলমগিরি ১/৩০৫, রদ্দুল মুহতার ৩/৩৯০)

কাফফারার রোজা এমন সময় শুরু করতে হবে যেন তার মধ্যে শাওয়ালের ১ তারিখ অথবা জিলহজের ১০ থেকে ১৩ তারিখ- এ দিনগুলো না আসে। কাফফারা আদায়ের দু’মাসের ভেতর উক্ত নিষিদ্ধ দিন পড়লে সে দিনগুলোতে রোজা রাখলেও কাফফারা আদায় হবে না; বরং এক্ষেত্রে পুনরায় নতুন করে লাগাতার দু’মাস রোজা রাখতে হবে।

আর নারীদের রোজার কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে শুধু হায়েজের দিনগুলো বাদ দিয়ে লাগাতার দুই মাস রোজা রাখতে হবে। অর্থাৎ লাগাতার রোজা রাখার সময় যদি তাদের হায়েজ চলে আসে তাহলে হায়েজের দিনগুলো রোজা রাখবে না। এক্ষেত্রে হায়েজের দিনগুলো রোজা না রাখার কারণে তাদের ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হবে না।

হাদিস শরিফে এসেছে, আমের রহ. নারীদের কাফফারার রোজার ব্যাপারে বলেছেন— তারা এ অবস্থায় বাকি রোজাগুলো এর উপর ভিত্তি করবে। আর হায়েজের দিনগুলোর রোজা অন্য দিন কাজা করে নিবে। (কিতাবুল আছার লি আবু ইউসুফ, হাদিস: ৭৯৮)

তবে হায়েজ ছাড়া অন্য কারণে রোজা না রাখলে তার কাফফারা ভেঙ্গে যাবে। নতুন করে আবার লাগাতার দুইমাস রোজা রাখতে হবে।




google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0