স্বর্ণ হল এমন একটি ধাতব পদার্থ যা বহু প্রাচীনকাল থেকে হাজার হাজার বছর ধরে গোটা মানব সভ্যতাকে মুগ্ধ করেছে। এই মনোমুগ্ধময় হলুদ ধাতুর মুগ্ধকর বিষয়টি হল এই ধাতুর সৌন্দর্য এবং উজ্জ্বল দীপ্তি।
স্বর্ণ বাংলাদেশের সহ বিশ্বের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সোনা ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আপনার যে বিষয়গুলি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হল, আমাদের বাংলাদেশে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ডলার রেট ও বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির উপর বিবেচনা করে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে ‘বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি’।
সারা বিশ্বে তথা বাংলাদেশেও সোনার দাম প্রতিনিয়তই উঠা-নামা করতে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন মানের স্বর্ণের দাম।
স্বর্ণের প্রকারভেদ - দাম (১ ভরি) - দাম (১০ গ্রাম) - দাম (আনা)
২৪ ক্যারেট - ১,১৫,৭০৬ টাকা - ৯৯,২০০ টাকা - ৭,২৩১ টাকা
২২ ক্যারেট - ১,১১,০৪১ টাকা - ৯৫,২০০ টাকা - ৬,৯৪০ টাকা
২১ ক্যারেট - ১,০৬,০২৫ টাকা - ৯০,৯০০ টাকা - ৬,৬২৬ টাকা
১৮ ক্যারেট - ৯০,৮৬২ টাকা - ৭৭,৯০০ টাকা - ৫,৬৭৮ টাকা
সনাতন পদ্ধতিতে - ৭৫,৬৯৯ টাকা - ৬৪,৯০০ টাকা - ৪,৭৩১ টাকা
বাংলাদেশে গ্রাম, আনা, তোলা প্রভৃতি একক দ্বারা স্বর্ণ পরিমাপ করা হয়ে থাকে ঠিক তেমনি স্বর্ণ পরিমাপের আরেক পদ্ধতির নাম হলো ভরি। ভরি সাধারণত ওজন পরিমাপের একক। দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে যেমন দুবাই এ স্বর্ণ পরিমাপের জন্য ‘ভরি’ সাধারণত একক রূপে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ১ ভরি স্বর্ণ সর্বদা ১১.৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের সমান। অর্থাৎ ১ ভরি= ১১.৬৬৪ গ্রাম। এখন আপনি যদি প্রতি ১ ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র প্রতি ১ গ্রাম স্বর্ণের দাম জেনে নিতে হবে তারপর ওই দামের সাথে ১১.৬৬৪ গুন করে দিলেই প্রতি ১ ভরি স্বর্ণের দাম কত চলছে তা সঠিক রুপে জানতে পারবেন।
১০০০ মিলিগ্রাম = ১ গ্রাম। এখন অর্থাৎ বর্তমানে বিদেশে বা আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণ ক্রয় করতে গেলে ভরি হিসেবে স্বর্ণ ক্রয় করা সম্ভব নয়। কারণ, বিদেশে স্বর্ণ বিক্রির একক হিসেবে ওজন পরিমাপের আন্তর্জাতিক একক “কিলোগ্রাম” বা “আউন্স” ব্যবহার করা হয়। কিলোগ্রামের ভগ্নাংশ হচ্ছে “গ্রাম”। স্বর্ণ যেহেতু অনেক মূল্যবান, তাই সাধারণ মানুষ অত্যন্ত অল্প পরিমাণে এই ধাতু ক্রয় করে থাকে। তাই স্বর্ণের ওজন পরিমাপে গ্রাম বা আউন্স-ই বেশি ব্যবহার হয়।