আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Everyone ran away from the restaurant

অভিযানের খবরে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে পালাল সবাই

Bijoy Bangla

Bijoy Bangla

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম

অভিযানের খবরে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে পালাল সবাই
অভিযানের খবরে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে পালাল সবাই

রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে এবার খিলগাঁওয়ে অভিযানে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনা দেখে এ সময় খিলগাঁও এলাকার বেশির ভাগ রেস্টুরেন্টগুলো তড়িঘড়ি করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত নাইটিং স্কাই ভিও ভবনের রেস্টুরেন্টেগুলোকে সাময়িক সময়ের জন্য সিলগালা করে বন্ধ করে দেন।  

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় খিলগাঁও এলাকার শহীদ বাকি সড়কে রেস্টুরেন্টগুলোতে বিদ্যমান অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকির লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।  

আজ দিনব্যাপী খিলগাঁও এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান পরিচালনা করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথম অভিযান শুরু হয় খিলগাঁও তালতলার শহীদ বাকি সড়কের নাইটিং স্কাই ভিও ভবনের শর্মা কিং রেস্টুরেন্টে থেকে। এ রেস্টুরেন্টে রান্না ঘর ছিল খুবই সংকীর্ণ জায়গায়। যেখানে এক সঙ্গে কয়েকজনের কাজ করা সম্ভব নয়। 

শর্মা কিং রেস্টুরেন্টে অভিযান চলাকালীন কোনো দায়িত্বশীল লোক না থাকায় এখানে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনায় ব্যর্থ হয়। ফলে কোনো জরিমানা বা সতর্ক করা ছাড়াই চলে যেতে হয়। পরে ভবনটিতে ঝুঁকিপূর্ণ সতর্কতা সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।  

এ রেস্টুরেন্টে অভিযান চলাকালীন ভবনের বাকি অন্য রেস্টুরেন্টগুলো ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান পরিচালনা দেখে তাদের রেস্টুরেন্টেগুলো বন্ধ করে ফেলে। ফলে এ ভবনে শর্মা কিং এর পর অন্য কোনো রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এ ভবনের একটি মাত্র সিঁড়ি ছিল। যার প্রস্থ তিন ফিটের মতো; যেটা ফায়ার এক্সিটের জন্য স্বাভাবিকের তুলনায় খুবই কম। এ ভবনের বাকি রেস্টুরেন্টেগুলো হলো লেভেল টু ক্যাফে ইপানিমা, লেভেল থ্রিতে থ্রি ডোরস, লেভেল ফোরে ক্যাফে সুইট অ্যান্ড সাভারি, টপ ফ্লোরে পাস্তা ক্লাব রেস্টুরেন্ট রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইল রোডে অবস্থিত গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। তাদের সবার শারীরিক অবস্থাই আশঙ্কাজনক।  

বিবিএন/০৫ মার্চ/এসডি


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0