নরসিংদীতে এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ৬ শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগীরা হলো- মেঘলা, চাঁদনী, তৈয়বা, জান্নাতুল, অর্পিতা ও সুমাইয়া। তারা নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিক্ষার্থী অর্পিতার বাবা গৌরাঙ্গের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের কাছে দায়ের করে তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়ে দেবেন এই সুবাদে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে নেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক টাকা নেওয়ার পর কোনো প্রকার চেষ্টা করেননি। যার কারণে ওই সকল শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
এর আগেও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম ফরম ফিলাপের কথা বলে আরও অনেকের কাছ থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার-স্বজনরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চাঁদনী বলে, ব্রাহ্মন্দী গার্লস স্কুলে আমরা নবম শ্রেণিতে অকৃতকার্য হই। পরে সেখান থেকে এসে নরসিংদী ডিজিটাল গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম আমাদের দশম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়ে নেয়। সেখানে আমরা টেস্ট পরীক্ষা দিই। সেই রেজাল্টও আমাদেরকে জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে ফরম ফিলাপ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা ও অন্যান্য ফি বাবদ দশ হাজার টাকা উনাকে দিতে হবে। পরবর্তীতে উনার কথামতো আমরা কয়েক ধাপে মোট ১৫ হাজার টাকা দিই। কিন্তু আমাদের মধ্যে দুই-তিনজনের কাছ থেকে এখনো উনি দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে পাবেন। কিন্তু আমরা তো টাকা পরিশোধ করেছি। তাহলে কেন আমরা পরীক্ষা দিতে পারলাম না। আমরা এই বিচার চাই। আমাদের টাকা ফেরত চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিখিত অভিযোগ এখনো আমি পাইনি তবে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। অভিযুক্ত সেই প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়েছি তবে সেটি বন্ধ রয়েছে। আমরা তাকে খোঁজার চেষ্টা করছি এবং ধরার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যেন নিয়ম এবং নীতিমালার বাইরে না যান। কোনো শিক্ষার্থী যদি অকৃতকার্য হয় তাহলে তারা যেন অপেক্ষা করে। ভুল করেও যেন এরকম প্রতারণার ফাঁদে পা না দেয়।
কট/বি