আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Temperature record

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:৫১ এএম

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে বরফের শিশির। থার্মোমিটারের স্কেলে তাপমাত্রা বাড়লেও বরফ ঝরা শিশির ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জেলা। এতে করে প্রচন্ড শীতে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে নাজেহাল পরিস্থিতিতে দিনযাপন করছেন অনেকে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড হয়েছিল ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে রেকর্ড হচ্ছে তাপমাত্রা। সকালে তাপমাত্রার রেকর্ডের তথ্যটি এই প্রতিবেদককে জানান জেলার প্রথম শ্রেনির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তৃতীয় দিনের মতো ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জেলার পরিবেশ। কুয়াশার কারণে শহর ও গ্রামের সড়কগুলোতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের পেশাজীবীরা। ভ্যানচালক, পাথর ও চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্নআয়ের পেশাজীবীরা।

এদিকে গতকাল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। বিকেলে তাপমাত্রা দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা বাতাসে শহরের হাটবাজারও জন কোলাহল শূন্য হয়ে পড়ে।

দিনমজুর হোসেন আলী ও আলাউদ্দিন বলেন, আজও খুব ঠান্ডা। হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু করার নেই। পরিবারের কথা চিন্তা করে কাজ করতে বের হয়েছি।

ভ্যানচালক দেলোয়ার ও আরশেদ আলী জানান, কদিন ধরেই প্রচন্ড কুয়াশা। কুয়াশার কারণে কেউ ভ্যানে চরতে চান না। তারপরেও ভ্যান নিয়ে বেড়িয়েছি। যদি আল্লাহর নামে বেড়িয়েছি, আল্লাহর রহমত থাকলে কামাই হবে।

 এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। শীত বেশি লাগার কারণ হচ্ছে বায়ুর গতিবেগ। বাতাসের গতি বেগ বেশি হলে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে। গতকাল দিনের তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0