শিল্পকলার আয়োজনে তিন দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসবের শুক্রবার ছিল সমাপনী দিন। জেলা শিল্পকলা সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সমাপনী দিনেও ভিড় ছিল লক্ষণীয় । দর্শনার্থীসহ সবার মাঝে উৎসবের আমেজ । একদিকে জেলা শিল্পকলা ভবনের সামনে পিঠা উৎসব অন্যদিকে শিল্পকলা মিলনায়তন মঞ্চে চলছে আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক গানের অনুষ্ঠান।
জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে বসেছে পিঠার পুলির স্টল । আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গম্ভীরা গান, বাউল গান, ঝান্ডি গান ও লোকো সংগীতে তিন দিনে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন বয়সী শিল্পীরা ।
বাহারি নামে সুসজ্জিত স্টল গুলোতে শোভা পাচ্ছে এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন নামের, ভিন্ন স্বাদের ও আকৃতির পিঠাপুলি। বৌরানী পিঠা, নকশী পিঠা, চিতই পিঠা, সতীন মোচর পিঠা, দুধ পিঠা, গড়গড়া পিঠা, পার্টি পিঠা, খেজুর পাতা পিঠা, জামাই পিঠা । এ ছাড়াও রয়েছে এ অঞ্চলের আন্ধাসা নামে খ্যাত তেল পিঠা ।
পিঠা উৎসবে স্টলের এক কোনায় বসেছে কালাই রুটির দোকান । উৎসব প্রসঙ্গে জেলা শিল্পকলার কর্মকর্তা ড. ফারুকুর রহমান ফয়সল বলেন , জাতীয় পিঠা উৎসবের মাধ্যমে এ অঞ্চলের পিঠাপুলির ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে । আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবমুখর পরিবেশে নানা বয়সী মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয় ।
পিঠা উৎসবের দর্শনার্থী তহিদুল হক কমল বলেন, এক জায়গায় নানা রকম পিঠাপুলি দেখে খুব ভালো লাগছে । পিঠা উৎসবে এসে বহু বছর পর আমার পছন্দের একটি পিঠার স্বাদ উপভোগ করলাম । তার সাথে এসেছে স্ত্রী ফাহিম তিনি বলেন, আমার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ, আমি এখানকার বউ। শাশুড়ির মুখে শুনেছি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পিঠাপুলির গল্প ।
বাড়িতেও নানা ধরনের পিঠা বানাই । একসাথে এই এলাকার বিভিন্ন পিঠা দেখে খুবই ভালো লাগলো । বেশ কয়েকটি পিঠা খেয়েছি, খুবই সুস্বাদু । এ ধরনের ধরনের উৎসব আয়োজন মাঝে মধ্যে হলে ভালো হয় ।
আজ সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারী স্টল গুলোর মধ্যে থেকে নির্বাচিত তিনটি স্টলকে দেওয়া হয় শিল্পকলার সনদ সম্মাননা ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিল্পকলার কর্মকর্তা ড. ফারুকুর রহমান ফয়সলের সভাপতিত্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম তাহমিদুর রহমান , নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. গোলাম মোস্তফা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুস সামাদ প্রমূখ ।