আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

National Pie Festival

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শেষ হলো শিল্পকলার জাতীয় পিঠা উৎসব

Bijoy Bangla

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শেষ হলো শিল্পকলার জাতীয় পিঠা উৎসব

শিল্পকলার  আয়োজনে তিন দিনব্যাপী  জাতীয় পিঠা উৎসবের শুক্রবার  ছিল  সমাপনী দিন। জেলা শিল্পকলা সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন  করে। সমাপনী দিনেও  ভিড়  ছিল  লক্ষণীয় ।  দর্শনার্থীসহ  সবার মাঝে   উৎসবের আমেজ । একদিকে  জেলা শিল্পকলা ভবনের সামনে পিঠা উৎসব  অন্যদিকে শিল্পকলা মিলনায়তন মঞ্চে চলছে  আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক গানের অনুষ্ঠান।

জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে  বসেছে  পিঠার পুলির   স্টল ।  আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গম্ভীরা গান, বাউল গান, ঝান্ডি গান ও লোকো সংগীতে তিন দিনে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন বয়সী শিল্পীরা । 

বাহারি নামে সুসজ্জিত স্টল গুলোতে শোভা পাচ্ছে এই এলাকার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন নামের, ভিন্ন  স্বাদের ও  আকৃতির পিঠাপুলি।  বৌরানী পিঠা, নকশী ‌ পিঠা, চিতই পিঠা, সতীন মোচর পিঠা, দুধ পিঠা, গড়গড়া পিঠা, পার্টি পিঠা, খেজুর পাতা পিঠা, জামাই পিঠা । এ ছাড়াও রয়েছে এ  অঞ্চলের আন্ধাসা  নামে খ্যাত তেল পিঠা ।


পিঠা উৎসবে  স্টলের এক  কোনায় বসেছে কালাই রুটির দোকান । উৎসব প্রসঙ্গে জেলা শিল্পকলার কর্মকর্তা ড.  ফারুকুর রহমান ফয়সল  বলেন , জাতীয়   পিঠা উৎসবের  মাধ্যমে এ অঞ্চলের পিঠাপুলির ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে । আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবমুখর   পরিবেশে  নানা বয়সী মানুষের   ভিড় ছিল লক্ষণীয়  । 

পিঠা উৎসবের দর্শনার্থী  তহিদুল  হক কমল বলেন, এক জায়গায় নানা রকম পিঠাপুলি দেখে খুব ভালো লাগছে । পিঠা  উৎসবে এসে  বহু বছর পর আমার পছন্দের একটি পিঠার  স্বাদ উপভোগ করলাম । তার সাথে এসেছে স্ত্রী ফাহিম  তিনি বলেন,  আমার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ, আমি এখানকার বউ। শাশুড়ির মুখে শুনেছি  চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন  পিঠাপুলির  গল্প । 


বাড়িতেও নানা ধরনের পিঠা বানাই । একসাথে এই এলাকার  বিভিন্ন পিঠা দেখে  খুবই ভালো লাগলো । বেশ কয়েকটি পিঠা খেয়েছি, খুবই সুস্বাদু । এ ধরনের ধরনের উৎসব  আয়োজন মাঝে  মধ্যে হলে  ভালো হয় । 

আজ সমাপনী দিনে অংশগ্রহণকারী স্টল গুলোর মধ্যে থেকে  নির্বাচিত তিনটি স্টলকে  দেওয়া হয় শিল্পকলার  সনদ সম্মাননা  ।  

সমাপনী  অনুষ্ঠানে    উপস্থিত ছিলেন    জেলা শিল্পকলার কর্মকর্তা    ড. ফারুকুর রহমান ফয়সলের সভাপতিত্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়   চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম তাহমিদুর রহমান ,  নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যাপক   মো. গোলাম  মোস্তফা    এবং   বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুস সামাদ প্রমূখ । 


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0