আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Parents beat the teacher

বাঘায় অফিসকক্ষে ঢুকে সহকারী প্রধান শিক্ষককে পেটালেন অভিভাবকরা

Bijoy Bangla

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম

বাঘায় অফিসকক্ষে ঢুকে সহকারী প্রধান শিক্ষককে পেটালেন অভিভাবকরা
বাঘায় অফিসকক্ষে ঢুকে সহকারী প্রধান শিক্ষককে পেটালেন অভিভাবকরা

রাজশাহীর বাঘায় অফিসকক্ষে ঢুকে সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে বাঁশের লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা সহকারী প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

এ বিষয়ে চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা নবম শ্রেণির ক্লাশে যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা সুন্দরবন পিকনিকে যাওয়ার জন্য স্যারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরবন এলাকায় বানরের আক্রমণ আছে বলে শিক্ষক জানান।

বানর কীভাবে আক্রমণ করে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে শিক্ষক হাত নেড়ে অঙ্গভঙিমায় শিক্ষার্থীদের বোঝানোর সময়ে এক ছাত্রীর ওড়নায় স্পর্শ লাগে। এতে ছাত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে তার অভিভাবকদের জানালে তারা বিদ্যালয়ে এসে অফিসকক্ষের তালা ভেঙে বাঁশের লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।

তাদের আক্রমণে সহকারী প্রধান শিক্ষকের মাথায় ও ডান হাতের বাহু, ডান হাতের দুটি আঙুল ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীকে আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করা হয়েছে মর্মে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, বাঘায় বিজ্ঞান মেলায় গিয়েছিলাম। ওই সময় বিদ্যালয়ে ছিলাম না। তবে আমার সহকারী প্রধান শিক্ষককে অফিসের তালা ভেঙে মারপিট করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে থানায় অবগত করেছি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, ঘটনা জানার পর পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।

বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য জগলু শিকদার বলেন, ওই শিক্ষকের এর আগেও কয়েকবার এ ধরনের সালিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বারবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছি। আমাকে কিছু লোকের জন্য বারবার লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। আমি তাদের কাছে নিরুপায় হয়ে পড়েছি।

বাঘা থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে শিক্ষক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0