আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Consuming too much salt causes many harms

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া নানাবিধ ক্ষতির কারণ

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭ মে, ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া নানাবিধ ক্ষতির কারণ
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া নানাবিধ ক্ষতির কারণ

নুনের (লবণ) মতো ভালোবাসা। ছোটবেলায় সেই রাজা আর রাজকন্যার গল্প তো আমরা সবাই শুনেছি। আর লবণেই আসল স্বাদ আর ভালোবাসা এটাই মেনেছি। নুনের মতো ভালোবাসা খুবই ভালো, তবে নুনের জন্য বেশি ভালোবাসা কিন্তু আমাদের জন্য ভালো নয়।

আমাদের অনেকেরই খাবারের সঙ্গে বাড়তি লবণ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে আগে লবণের পাত্রটি টেবিলে আছে কিনা এটা নিশ্চিত হন অনেকে। কিন্তু এই অনিয়মটির কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে আমাদের কিডনি ও লিভারের।

পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, কিডনি অতিরিক্ত সোডিয়াম আমাদের দেহ থেকে নিষ্কাশন করতে পারে না। ফলে বাড়তি লবণের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। এমনকি কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। আর লবণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে আমাদের শরীরের তরলের। বেশি লবণ লিভারের কাজেও চাপ তৈরি করে। এজন্য লিভারে কোনো সমস্যা হলেও লবণ খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়।

তিনি বলেন, অতিরিক্ত লবণ খেলে কখনো কখনো হাত-পায়ে পানি জমে ফোলা ফোলা ভাব দেখা দেয়। উচ্চ মাত্রার সোডিয়াম-এর কারণেই এটি হয়। এমন হওয়াটা কিডনি এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ।

অতিরিক্ত লবণ সবার জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশুদের এজন্য এটি অনেক বেশি ক্ষতি করে। তামান্না চৌধুরী বলেন, শিশুদের কিডনি কর্মক্ষম হতে জন্মের পরেও চার মাস সময় লাগে। তাই শিশুদের খাবারে কোনোভাবেই যেন লবণ বেশি না হয়। এই বাড়তি লবণ শরীরে জমে শিশুর কিডনি, লিভার এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে, হতে পারে মৃত্যুও।

শরীরে লবণের পরিমাণ বেশি হলে অতিরিক্ত পানি শরীরে জমে যায়। বেরোতে পারে না। এই অতিরিক্ত পানি ধরে রাখার মাধ্যমে লবণ উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, যা ক্ষতিকর। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও ব্রেইন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। এছাড়াও পাকস্থলীর ঘা এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি করে বাড়তি লবণ।

তবে লবণ আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনও। শরীরের অভ্যন্তরীণ কাজ ঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য লবণের সোডিয়াম অংশটি অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এটি মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণেই যত বিপত্তি হতে পারে।

টিনজাত স্যুপ, সবজি, মাংস-মাছ, প্রক্রিয়াজাত পনির ও মাংস, হিমায়িত খাবার, বিভিন্ন ধরনের সস, শুঁটকি মাছে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

একজন সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন এক চা চামচ পরিমাণ লবণ খেতে পারবেন। এই লবণ তৈরি খাবারের মধ্যে থাকতে হবে। কোনোভাবেই পাতে বাড়তি লবণ নয়।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0