চলছে রোজার মাস।খেজুর রমজানের ইফতারের তালিকায় অবশ্যই থাকে। আমরা সারাদিন রোজা রাখার পর খেজুর দিয়ে ইফতার শুরু করি। খেজুর খেয়ে ইফতার করা সুন্নত। তাই রমজান মাসে খেজুরের কদর বেড়ে যায়। খেজুর না থাকলে আমাদের ইফতার যেন পরিপূর্ণ হয় না। এর মূল কারণ খেজুরের পুষ্টিগুণ অধিকাংশ খাদ্যের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে খাদ্যশক্তি খুব বেশি। সারাদিন রোজা থাকার পর শরীর খুব দুর্বল হয়। এতে প্রচুর খাদ্যশক্তি থাকায় দুর্বলতা দূর হয়। খেজুর স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
রোজায় অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা হয় বলে দেহের প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয়। খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় এ ঘাটতি পূরণ করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একে যদি আমরা সাথি করে নিতে পারি তবে আমাদের নিত্যদিনের শুধু কর্মক্লান্তিই যাবে না, নিরোগ থাকার একটি উপায়ও খুঁজে পাওয়া যাবে।
চলুন জেনে নেই পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খেজুরের সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য:
১.খেজুর রুচি বাড়ায়।
২.ত্বক ভালো রাখে।
৩.দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে।
৪.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫.খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় এ ঘাটতি পূরণ হয়।
৬.খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী।
৭.হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী।
৮.খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে।
৯.ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে।
১০.খেজুরে আছে ডায়েটরি ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়।
১১.তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।
১২.উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাটসম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, কণ্ঠনালীর ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।
১৩.মস্তিষ্ক প্রাণবন্ত রাখে খেজুর।
১৪.ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তির জোগান দেয় খেজুর।
১৫.যাদের হার্টের সমস্যা আছে, তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।
১৬.খেজুর হৃদরোগ, জ্বর ও পেটের পীড়ায় উপকারী এবং বলবর্ধক ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
যেকোনো ফলের চেয়ে খেজুরের পুষ্টিগুণ বেশি। তাই তো বলা হয়ে থাকে, বছরে যতগুলো দিন আছে, খেজুরে তার চেয়েও বেশি গুণ রয়েছে। শুধু রমজান মাসের জন্য নয়, সারা বছর পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমরা এ ফলটিকে রাখতে পারি।
বিবিএন/১৪মার্চ/অচ