আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

BCB president

নাজমুল হাসান পাপনই থাকছেন বিসিবি সভাপতি!

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:২২ পিএম

নাজমুল হাসান পাপনই থাকছেন বিসিবি সভাপতি!
নাজমুল হাসান পাপন।

নাজমুল হাসান পাপন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্ব পেয়ে নিয়মিত অফিসও করা শুরু করেছেন মন্ত্রণালয়ে। তবে কি নাজমুল হাসান পাপনকে মিস করতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)? বিসিবি সভাপতি এখন গোটা দেশের খেলাধুলার দায়িত্বে। ফলে ক্রিকেটের প্রতি তার দৃষ্টি  সরু হয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে? কিন্তু বাস্তবে সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর নাজমুল হাসান যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চেষ্টা করবেন বললেও আপাতত সেটি হচ্ছে না। তার নেতৃত্বাধীন বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত। 

সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হাসানও ততদিনই বিসিবির সভাপতির পদে থাকবেন। ২০২৫ সালের ৫ অক্টোবর বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর হবে নতুন নির্বাচন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত বোর্ড পরিচালকদের মধ্য থেকে পরিচালকেরা নতুন সভাপতি নির্বাচন করবেন, এটাই আছে বিসিবির গঠনতন্ত্রে। তার আগ পর্যন্ত নাজমুল হাসানই থাকছেন বিসিবি সভাপতি।

নির্বাচনের পর বিসিবির পুরো পরিচালনা পর্ষদেই আসতে পারে বড়সড় পরিবর্তন। নাজমুল হাসানের সঙ্গে তখন বিদায় নিতে পারেন অনেক বছর ধরে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে সম্পৃক্ত বর্তমান অনেক জ্যেষ্ঠ পরিচালক। নতুন করে বোর্ড পরিচালক হওয়ার দৌড়ে তাদের অনেকেই হয়তো নামবেন না। 

এদিকে, পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ক্রিকেট মাঠ তৈরি ও মাঠের জন্য জমি কেনার প্রকল্পে হাত দিয়েছে বিসিবি। এসব প্রকল্পের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য হলেও বিসিবির পরিচালকেরা চান অন্তত চলতি মেয়াদ পর্যন্ত সভাপতির পদে নাজমুল হাসানই থেকে যান। 

বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা চাই বোর্ড সভাপতি হিসেবে তিনি তাঁর বর্তমান মেয়াদ শেষ করে যান। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে বর্তমান বোর্ড যেসব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য হলেও তাকে বোর্ডে দরকার।

নাজমুল হাসান সভাপতিত্ব ছেড়ে দিলে বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ে যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে, সেটা অস্বস্তি ছড়াবে পুরো পরিচালনা পর্ষদে। কারণ, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এরপর পরিচালকদেরই ভোটাভুটি করে তাদের মধ্য থেকে ঠিক করতে হবে পরবর্তী বোর্ড সভাপতি। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ যেহেতু আর দুই বছরেরও কম সময় বাকি, এই সময়ের জন্য নিজেদের মধ্যে লড়তে চান না দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করা পরিচালকেরা। 

বিসিবির সাবেক পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হলেও যদি তিনি বিসিবি সভাপতি থাকা অবস্থায় অন্য খেলার উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখেন, তাহলে দুটো দায়িত্ব এক সঙ্গে পালনে আমি কোনো সমস্যা দেখি না।

ক্রিকেট বিশ্লেষক ও কোচ নাজমুল আবেদীনের মতে, ‘বিসিবি একটিমাত্র খেলার ফেডারেশন, অন্যদিকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিসিবিসহ সব ফেডারেশন। সে ক্ষেত্রে ক্রীড়া মন্ত্রীর একটা নির্দিষ্ট ফেডারেশনের সভাপতি হওয়াটা স্বার্থের সংঘাত তো তৈরি করেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে যতটা চিনি বা জানি, উনি নিশ্চয়ই চেষ্টা করবেন স্বার্থের সংঘাতটা যেন তৈরি না হয়। সাংগঠনিক পর্যায়ে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব খেলার উন্নয়নের জন্যই তিনি কাজ করবেন। আমার বিশ্বাস তিনি বিসিবি প্রধান ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে নিজের কাজে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবেন।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ বলেছেন, ‘এমন নয় যে বিসিবির অন্য পরিচালকদের সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই। কিন্তু বিসিবি প্রধান হিসেবে পাপন ভাইয়ের অবস্থান সব পর্যায়ে যতটা শক্ত, অতটা হয়তো অন্যদের হবে না। ক্রিকেটের ভালোর জন্যই তাই ওনার সভাপতি থাকা উচিত।

এদিকে, মন্ত্রী হওয়ার পরও নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড সভাপতি থাকায় আইসিসি থেকেও তাই কোনো বাধা নেই। বিসিবির পরিচালকদের তাই সর্বসম্মত অলিখিত সিদ্ধান্ত- বোর্ড সভাপতি হিসেবে চলতি মেয়াদ পর্যন্ত তারা নাজমুল হাসানকেই ধরে রাখবেন। আর ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছা যেহেতু নাজমুল হাসানেরও আপাতত নেই, তাই অন্তত ২০২৫ সালের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিনিই বিসিবি সভাপতি হিসেবে থেকে যাচ্ছেন।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0