আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

24 percent buses are unfit

২৪ শতাংশ বাস আনফিট, নির্ধারিত বেতন পান না ৬৯ শতাংশ শ্রমিক: টিআইবি

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ, ২০২৪, ০১:১৯ পিএম

২৪ শতাংশ বাস আনফিট, নির্ধারিত বেতন পান না ৬৯ শতাংশ শ্রমিক: টিআইবি
২৪ শতাংশ বাস আনফিট, নির্ধারিত বেতন পান না ৬৯ শতাংশ শ্রমিক: টিআইবি

দেশে চলাচলকারী ১৮.৯ শতাংশ বাসের নিবন্ধন, ২৪ শতাংশ বাসের ফিটনেস, ১৮.৫ শতাংশ বাসের ট্যাক্স টোকেন ও ২২ শতাংশ বাসের রুট পারমিট নেই বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সড়কে বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী প্রত্যেকটি বাসের জন্য নিবন্ধন ও তিন ধরনের সনদ বাধ্যতামূলক। কিন্তু ৪০.৯ শতাংশ বাসকর্মী ও শ্রমিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এক বা একাধিক বাসের নিবন্ধনসহ কোনো না কোনো সনদের ঘাটতি আছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সকালে ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাস পরিবহন ব্যবসায় শুদ্ধাচার শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

টিআইবির গবেষক মুহা. নূরুজ্জামান ফারহাদ, ফারহানা রহমান ও মোহাম্মদ নূরে আলম গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাস শ্রমিকদের প্রতিদিন প্রায় ১১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। আর তাদের মধ্যে ৮২ শতাংশের কোনো নিয়োগপত্র নেই, ৬৯.৩  শতাংশের নেই নির্ধারিত মজুরি।

যাত্রী সেবা প্রসঙ্গে সংস্থাটির দাবি, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৫.৮ শতাংশ যাত্রী, ৪৮ শতাংশ শ্রমিক এবং ৫১.৮ শতাংশ মালিক বাসের মাত্রাতিরিক্ত গতিকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

২২.২ শতাংশ কর্মী/শ্রমিকদের মতে, মদ্যপান বা নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে চালক গাড়ি চালান এবং কন্ডাক্টর/হেলপার/সুপারভাইজার বাসে দায়িত্ব পালন করেন। সিটি সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ হার ৪৫.৯ এবং আন্তঃজেলার ক্ষেত্রে ১৯.২ শতাংশ বলে জানায় সংস্থাটি।

নির্দেশনার যথাযথ প্রয়োগের অভাবে চলন্ত বাসে চালকরা ফোন ব্যবহার করেন। এর ফলে অনেকসময় প্রাণহানিসহ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানানো হয়। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে বিআরটিএ এর প্রকাশিত তথ্যের গড়মিল হয় বলে দাবি করছে টিআইবি।

বিআরটিএ এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজার ২৪ জন এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী এ সংখ্যা ৭ হাজার ৯০২ জন।

বিবিএন/০৫ মার্চ/এসডি


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0