আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Safety Coalition Bangladesh

মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ মে, ২০২৪, ০৫:৪৬ এএম

মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ
রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ।....সংগৃহীত ছবি

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা রোডক্র্যাশ ও প্রতিরোধযোগ্য অকাল মৃত্যু ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে এই নির্দেশিকার যথাযথ বাস্তবায়ন হলে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। 

বৃহস্পতিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। রোড সেফটি কোয়ালিশনের সদস্য বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট, নিরাপদ সড়ক চাই, ব্র্যাক, ঢাকা আহসানিয়া মিশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন ও রিসার্চ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ অর্থপেডিক্স সোসাইটি, বিএনএনআরসি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষে বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিচসা) এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।  

এতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকার দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখছে। রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের অন্যান্য দেশসমূহ থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সড়কে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারি নির্দেশনার দাবি করে আসছে। অত্যন্ত আশার খবর হলো, গত ৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা প্রণয়নে গ্রামাঞ্চল ও শহরের ঘনত্বের মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েছে। রাস্তার ধরণ ও প্রকৃতি অনুযায়ী বিভিন্ন মোটরযানের গতি ভিন্ন ভিন্ন করা হয়েছে, যা সড়ক নিরাপত্তার জন্য মানসম্মত বিষয় বলে মনে করে সংগঠনটি। তবে এক্ষেত্রে লেন ভিন্ন করলে নির্দেশিকাটির বাস্তবায়ন সহজতর হবে। রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ আশা করে যে, সরকার এ ব্যাপারে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং এই নির্দেশিকাটি বাস্তবায়ন করা গেলে দুর্ঘটনা এবং সড়কে অকাল মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, এই নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করলে সড়কে নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ ঝুঁঁকিপূর্ণ পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। 

মোটরযানের গতিসীমা নির্দেশিকা জারি করায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে সংগঠনটি আরও জানায়, যেহেতু এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে যথাযথ এক্সেস কন্ট্রোল নেই, সেহেতু যানবাহনের ধরন অনুযায়ী গাড়ির যে গতি সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক। সড়কে নিহত ও আহতের ঘটনাসমূহ প্রতিরোধযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হলেও বিগত ৬ বছরে কোনো গতি সীমা নির্দিষ্ট না থাকায় এই সমস্যার সমাধান অর্জন করা সম্ভব হয়নি। 


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0