Pile of pineapples
অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ২১ মে, ২০২৪, ১২:১৬ এএম
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান- তিন জেলার মৌসুমি ফল উৎপাদনে সুখ্যাতি অনেক আগে থেকেই। বিভিন্ন মৌসুমি ফলের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত আনারসের সিংহভাগই চাষ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে।
বছরে গড়ে দেড় লাখ টনের অধিক আনারস উৎপাদন হয়ে থাকে পার্বত্য তিন জেলায়। পাহাড়ে উৎপাদিত এসব আনারসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামে।
প্রতিদিন ট্রাকে করে আনারস আসে ফিরিঙ্গিবাজার, ফলমণ্ডির ফলের আড়তে। এসব আড়ত থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা আনারস নিয়ে যান।
আড়তদাররা জানান, আনারসের উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবার যোগান ভালো আড়তে। রমজানে প্রচুর চাহিদা থাকে আনারসের। তরমুজের পর খুচরা ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি আনারস নিয়ে যান। আর দাম হাতের নাগালে থাকায় সব শ্রেণির ভোক্তারা কিনতেও পারে।
আড়তে আনারস কিনতে আসা খুচরা ফল ব্যবসায়ী মঈনুল জানান, আগের চেয়ে আড়তে আনারসের দাম বেড়েছে। মাঝারি সাইজের একটা আনারস গড়পড়তা ৩৫ টাকার মতো পড়ছে। মাঝারি সাইজের আনারসের চাহিদা মূলত বেশি।
তবে দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে আড়তদাররা জানালেন, বাগান থেকে আনারস পরিবহনের সময় অনেকগুলো আনারস নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া সংরক্ষণ ব্যবস্থার কারণেও আনারস তাড়াতাড়ি পচে যায়। আবার রমজানে চাহিদাও বেশি থাকায় আনারসের দাম কিছুটা বেড়েছে।
জানা যায়, পাহাড়ে মূলত ‘জায়ান্ট কিউ’ ও ‘হানিকুইন’ এ দুই জাতের আনারস চাষ হয়ে থাকে। তবে উৎপাদন ও স্বাদের দিক থেকে ‘হানিকুইন’ শীর্ষে আছে, বলছেন কৃষিবিদরা।
বিবিএন/০৬এপ্রিল/এসডি