আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

logo

সবজিতে স্বস্তি ফিরেছে, মাংসের বাজার চড়া

Comfort returned to vegetables, meat market rose


অনলাইন ডেস্ক: প্রকাশিত:  ২০ মে, ২০২৪, ০২:২৩ এএম

সবজিতে স্বস্তি ফিরেছে, মাংসের বাজার চড়া
ঈদ পরবর্তী সময়ে ক্রেতা না থাকায় স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে।....সংগৃহীত ছবি

ঈদ পরবর্তী সময়ে ক্রেতা না থাকায় স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। ঈদের আগে যেসব সবজি কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, ঈদ পরবর্তী বাজারে সেসব সবজির দাম কেজিপ্রতি কমেছে প্রায় ২০ থেকে ৫০ টাকা। তবে খুশির খবর নেই মাংসের বাজারে। মুরগির দাম কিছুটা কমলেও এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর বাসাবো কাঁচাবাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের বাজারে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখনো একই দামেই বিক্রি হচ্ছে। সাধারণত ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেড়ে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের আগে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া লেয়ার কেজিপ্রতি ৪০ টাকা কমে এখন ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি।

এদিকে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি সবজির দামই কমেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা না থাকায় কম দামে মালপত্র বিক্রি করতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি শসা ৪০ টাকা, প্রতি হালি মাঝারি সাইজের লেবু ৩০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, উস্তা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গত সপ্তাহে ৮০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন (গোল) প্রতি কেজি দাম কমে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ২০ টাকা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, ৪০ টাকায় টমেটো ৩০ টাকায়, ৪০ টাকা কেজি দরের ঢেঁড়স ৩০ টাকা, ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি, ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ধুন্দল ৪০ টাকা এবং ৬০ টাকা পিসপ্রতি বিক্রি হওয়া ফুলকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

সবজি বিক্রেতা আব্দুস সামাদ বলেন, বাজারে তেমন লোকজন নেই। কাঁচামাল বেশি দিন ঘরে রাখা যায় না। অনেক মাল আছে বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চাহিদা না থাকায় মোটামুটি সব ধরনের সবজির দাম এখন অনেক কম। এখনো অনেকে ঢাকা ফেরেনি। ঢাকা ফিরলেই আবার সবকিছু দাম আগের মতোই হবে।

আরেক বিক্রেতা আব্দুর জব্বার মিয়া বলেন, আড়তে এখন কম দামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কম দাম হলেও কেউ কিনছে না সবজি। ঢাকায় তো মানুষ নাই। ঈদ শেষ করে অনেকেই এখনো ঢাকায় ফেরেনি। মানুষ না থাকায় চাহিদা কম, দামও কম।

রবিউল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ঈদে গ্রামে যাওয়া হয়নি। ঢাকাতেই ঈদ করেছি। সবজির দাম এখন তুলনামূলক অনেক কম। সারা বছর এমন দামে সবজি পেলে ভালো হতো। কিন্তু সেটা তো আর পাওয়া যাবে না।

মাংস কিনতে আসা রায়হান বলেন, সবজির দাম কম না মাংসের দাম তো কমেনি। আগে যে দামে আমি মাংস কিনেছি এখনও একই দামে মাংস কিনতে হচ্ছে। মাংসের এত বেশি দাম হলে মানুষ খাবে কীভাবে? 



google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0