Most of the victims are children
অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ২০ মে, ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
তীব্র গরমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতি দিন জেলা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই শিশু। গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্তদের ৭০ শতাংশই শিশু।
চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরমের কারণে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জেলা হাসপাতালে দেখা যায়, ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা বারান্দা বা করিডোরের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বেশিরভাগই শিশু।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন শতাধিক রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে যাদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ, তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। বাকিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৯২ জন। যদিও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যাসংখ্যা শিশুদের জন্য ১০টি ও বড়দের ১৫ থেকে ২০টি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বটতলা হাটের বাসিন্দা বাবুল শেখ বলেন, বুধবার সকাল থেকে আমার বাচ্চার ডায়রিয়া। বমি আর পাতলা পায়খানা নিয়ে হাসপাতালে আসি। আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা ভালো পেয়েছি। আজকে ছাড় দিল, এখন বাড়ি যাবো।
শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্ররাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা তহিদুল বলেন, আমার বাচ্চার বমি এবং পাতলা পায়খানার জন্য এখানে এসেছি। আমার বাচ্চা এখনো পরিপূর্ণ সুস্থ হয়নি। বমিটা কমেছে কিন্ত পাতলা পায়খানা এখনো হচ্ছে।
সদর হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মাহফুজ রায়হান বলেন, গত এক সপ্তাহ থেকে আমরা দেখছি ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। বমি, ডায়রিয়া ও জ্বর নিয়ে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক রোগী আসছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ১০টি সিট আছে কিন্ত শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। আমাদের সামাল দিতে একটু কষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডায়রিয়া রোগী বাড়ার কারণ হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন। এইসময় রোটা ভাইরাসসহ আরোও কিছু জীবাণুর সংক্রমণ বেড়েছে। শুধু ডায়রিয়ায় নয়, এর পাশাপাশি আমরা অনান্য রোগীও বেশি পাচ্ছি।
বিবিএন-এসডি