আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

logo

ছাত্রদলের পারভেজ হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতাসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

Chhatra Dal's Parvez murder case


অনলাইন ডেস্ক : প্রকাশিত:  ১৮ মে, ২০২৪, ০৯:৫১ এএম

ছাত্রদলের পারভেজ হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতাসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন
ছাত্রদলের পারভেজ হত্যায় আ.লীগ নেতাসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতা মো. পারভেজ হোসেন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ১১ আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিলেন তিনজন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নাসরিন জাহান এই রায় দেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কালিরবাজার এলাকার হাজী মো. আব্দুর রহমানের ছেলে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সেকান্দর আলী, আব্দুল লতিফের ছেলে ও যুবলীগ নেতা মো. শাহীন, আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. সাদ্দাম হোসেন, মো. মোজাম্মেল হক ওরফে মূসার ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, আ হ ম আলীর ছেলে মফিজ ভান্ডারী, জয়নাল মাস্টারের ছেলে মো. কাওছার (পলাতক), মনির হোসেনের ছেলে মো. রিয়াজ রিয়াদ (পলাতক), শফিক মেম্বারের ছেলে বিল্লাল (পলাতক), আব্দুর রহমান ডিলারের ছেলে মো. কামাল হোসেন, হারুন অর রশিদের ছেলে আব্দুল কাদের, আব্দুল ওহেদের ছেলে মো. ইব্রাহীম খলিল, আশ্রাফ আলীর ছেলে আনোয়ার, ইমদাদুল হক জুরুর ছেলে মো. মেহেদী হাসান রুবেল এবং হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে জয়নাল আবেদীন। আসামিদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও পাঁচমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ছাত্রদল নেতা মো. পারভেজ হোসেন কালিরবাজার ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী শরীফুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কমলাপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে পারভেজকে আটক করে ডাকাত বলে মারধর করেন সেকান্দার চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত পারভেজকে আটক করে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। যে কারণে পারভেজের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫০ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পারভেজের মা-ও বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।  

এ ঘটনায় তদন্ত করে সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে একজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0