Initiatives to bring back good governance in the banking sector
অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২৪, ১২:৩৬ এএম
সংকটে পড়া ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক একীভূতকরণ বিষয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রকার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যনির্ভর নয়। ফলে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
মূলত দুইটি উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ব্যাংক একীভূতকরণ’ নিয়ে কাজ করছে
১. ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ। ফলে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে কার্যকর ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য দেশে অধিক সক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে যাতে করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনরূপ বাধার সৃষ্টি না হয়।
২. অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান এবং একইসঙ্গে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা; যাতে করে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক-কোম্পানি অধিকতর সেবা প্রদান করতে পারে। জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্দেশ্য ও ফলাফল বিষয়ে সবার জ্ঞাতার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক জানাচ্ছে যে,
ক) একীভূতকরণের প্রক্রিয়াধীন ব্যাংকগুলোতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের জমা করা আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে। একীভূতকরণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও স্ব স্ব ব্যাংকের হিসাবধারীদের বর্তমান হিসাব আগের মতোই চলমান থাকবে।
খ) একীভূতকরণের আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালক, বর্তমান পর্ষদ ও সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতির ভিত্তিতেই একীভূতকরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
গ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ৪ এপ্রিল জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ৮ এ বর্ণিত নীতিমালা অনুসরণ করেই একীভূতকরণের সব কার্যক্রম সম্পাদন হবে।