আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

The fall of the government

বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৪, ১১:১৭ এএম

বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শনিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। শনিবার দুপুরে সারাদেশে একযোগে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ কর্মসূচি শুরুর আগে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। 

কারাগারে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নিপীড়ন-নির্যাতন করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা আব্বাস বলেন, নির্যাতন ও অত্যাচার যেভাবে সীমা ছাড়িয়ে গেছে সেটা আর সহ্য করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতাকর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, যুদ্ধ জয় করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। অবশ্যই তারা সরকারের পতন ঘটাবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে এবং বাড়বে। আমরা এটাই শুধু জনগণকে জানাতে চাই এ অবস্থার অবসানে আন্দোলন করতে হবে। আমরা বলতে চাই, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। সাময়িকভাবে আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হতে পারে, কিন্তু সার্বিকভাবে আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। আজ না হয় কাল জনতার হাতে এই সরকারের পতন ঘটবেই। 

মির্জা আব্বাস বলেন, মুসোলিনি-স্ট্যালিনরা বহুদিন রাজত্ব করেছে। কিন্তু পরিণতি হয়েছে ভয়াবহ। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারেনি, পারবেও না। তিনি বলেন, আজকে যে সরকার আছে এটাকে সরকার বলা যাবে না। এরা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতায় টিকে আছে। ক্ষমতায় টিকে আছে লুটপাট করার জন্য, চুরি করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে আছে  দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা আন্দোলন করতে করতে এ পর্যন্ত এসেছি। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। এখন পরবর্তী প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এর আগে আমাদের মনোবল ঠিক রাখতে হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে। এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। 

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, আপনারা অনেক সহ্য করেছেন, আরও সহ্য করতে হবে। যদি বলেন, কতদিন সহ্য করতে হবে- এটা বলা সম্ভব না। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের হামলার ঘটনা সরকারের পূর্বপরিকল্পিত। ২৮ অক্টোবর কী হয়েছিল? সেই প্রথম থেকেই একটা নক্সা করা হয়, যেন বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যেন বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে। এই চক্রান্ত প্রথম থেকেই শুরু হয়েছে। সেজন্য দুই বছর আগে থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার করা হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের ওপর ২৮ অক্টোবর যেটা হয়েছে তা নির্মম নির্যাতন, বর্বরোচিত হামলা। এই হামলার পরও আমি এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কজন শেষ পর্যন্ত মঞ্চে ছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম টিয়ারশেল আমাদের ট্রাকে এসে পড়ছে, সামনে রাইফেল হাতে পুলিশ দাঁড়ানো, হয়ত গুলি করবে, টিকে থাকা সম্ভব হবে না, তখন আমরা মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বাধ্য হয়েছি। এমন নারকীয় ঘটনা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীও ঘটায়নি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাসাসের নেতা জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাদরেজ জামান, ছাত্রদলের নেতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ। 

এর আগে শনিবার সকালে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর বেইলি রোডে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, মানুষের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে, গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এ সরকার সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে।

বিশ্বের কোথাও এসবের দাম বাড়ছে না। কেন বাড়িয়েছে জানেন? কারণ সরকার তাদের স্বজনদের কুইক রেন্টাল দিয়েছে। কুইক রেন্টালে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করে তারা বিশ্বে ধনী হওয়ার খেতাব পেতে চাচ্ছে। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী প্রমুখ।

বিবিএন/ কল্পনা


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0