অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, পবিত্র মাহে রমাদান আমাদের মাঝে সমাগত। আর মাত্র ১ দিন পরেই সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মুসলমানরা আল্লাহর ফরজ ইবাদত পালন করবেন, ইনশাআল্লাহ। 

তিনি রমাদানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য সরকারসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান। 

জামায়াতের এই নেতা বলেন, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে দেশের মানুষ আজ বিপর্যস্ত। দুবেলা, দু-মুঠো খাবার জোগাড় করতেই তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। এরমধ্যেই রমাদানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য আবারও দফায় দফায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারের এ অবস্থা দেখে দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হচ্ছে না। সরকারের ব্যর্থতায় আওয়ামী দলীয় লোকজন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটপাট ও জনগণের পকেট কাটতে ব্যস্ত রয়েছে।

অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে সেহরি ও ইফতার করতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে হলেও রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করছি, এই সরকারের মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে রাসুলুল্লাহ সা: এর সুন্নত নিয়ে বিদ্রূপ ও কটূক্তি করছে। ইফতারিতে খেজুর খাওয়া সুন্নত অথচ শিল্পমন্ত্রী খেজুরের পরিবর্তে বরই খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এই কটূক্তির জন্য অবিলম্বে শিল্পমন্ত্রীকে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় শিল্পমন্ত্রীর পদত্যাগের জন্য জনগণ আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। 

সরকার ইসলামে নিষিদ্ধ মদের উপর শুল্ক ফ্রি করে খেজুরের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে খেজুরের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা রমজানে খেজুরের শুল্ক সম্পূর্ণ ফ্রি করার দাবি করছি। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট চুরির মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও আদালত প্রাঙ্গণকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। ভোট লুটের বিরুদ্ধে দেশের সকল ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বিবিএন/ কল্পনা