আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শনিবার, মে ১৮, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Paryaṭakadēra bhiṛa Crowd of tourists

কক্সবাজারে ছুটির দিন কয়েক লাখ পর্যটক

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম

কক্সবাজারে ছুটির দিন কয়েক লাখ পর্যটক
কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড়

কক্সবাজারে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হয়েছে। শীতের শেষে সপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া অন্যান্য স্বাভাবিক সময়ের থেকে বেশি ভীড় কক্সবাজারে। পর্যটকদের ভিড় বাড়লেই হোটেল-মোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও রেস্তোরাঁয় বেশি দামে খাবার বিক্রি শুরু হয়। কে কত বেশি টাকা হাতিয়ে নিতে পারেন সেই প্রতিযোগিতায় নামেন ব্যবসায়ীরা। হোটেল ভাড়ার কোনো তালিকা না থাকায় অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে ঠকছেন পর্যটকরা। 

সপ্তাহিক ছুটিতে কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকরা এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীদের এসব আচরণে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলবে শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এরই মধ্যে প্রতিটি হোটেলের ভাড়া (নরমাল) সর্বনিম্ন সাড়ে পাঁচ হাজারে ঠেকেছে। কিছু হোটেলের ভাড়া ৯ থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। 

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, হোটেল-মোটেলে নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট রাখার নিয়ম থাকলেও কোনো হোটেলেই তা নেই। হোটেল লজ, গ্যালাক্সি, বিচওয়ে, বিচ রিসোর্ট, হোয়াইট অর্কিডসহ বেশ কয়েকটি হোটেলে ঘুরে দেখা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের কোনো রুমই খালি নেই। আর এসব হোটেলে প্রতিটি রুম (নরমাল) সাড়ে ৪ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকায় ভাড়া হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সব হোটেলের রুম বুকিং। তাই পর্যটকরা রুম পাচ্ছেন না। 

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,  সেটি আমার জানা নেই। তবে কিছু অসাধু ব্যাবয়াসী নিচ্ছে। 

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আশরাফ বলেন, সকালে কক্সবাজার আসছি। কোথাও রুম নেই। হোটেলে রুম না পেয়ে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পাশে রমজান গেস্ট হাউস নামে একটি কটেজে গিয়ে রুম চাইলে একদিনের জন্য ৮ হাজার ২দিনের জন্য ১০ হাজার টাকা চায়। তারপর ওই কটেজে রুম বুকিং দিলেও রুমে গিয়ে দেখি রুমের সাথে ওয়াশরুম নেই। এই রুমের ভাড়া ১ হাজার টাকা দিলে লস হবে। এখন রাতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

কুমিল্লা থেকে আসা আরেক পর্যটক শাওন বলেন, ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে আসছিলাম। এখানে কোথাও রুম খালি নেই। যেসব রুম খালি আছে সেগুলো কোনো মানের না। রুমগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। তার মধ্যে ৫ হাজার টাকা চায়। কী করবো বুঝতে পারছি না। 

কক্সবাজারে বেড়াতে আসা মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা ঢাকা থেকে কয়েকজন বন্ধু বেড়াতে এসেছি। এখানে এসে শহরের গণপূর্ত ভবনের পাশে গড়ে ওঠা গ্রিন কক্স এবং কক্স হিলটপ হোটেলে রুম ভাড়া নিতে গেলে প্রতি রুম সাড়ে আট হাজার চায়।একদিনের জন্য নাকি রুম ভাড়া দিতে মালিকপক্ষ নিষেধ করছে। রুমগুলো দেখে মনে হলো এটি সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা হবে। পর্যটক বেশি আসায় হোটেল ব্যাবসায়ীরা এমন আচারণ করছে।

কয়েকজন পর্যটক অভিযোগ করেন, হোটেল লজ নামে একটি আবাসিক হোটেলের দুই হাজার টাকার কক্ষের ভাড়া উঠেছে ৭-৮ হাজার টাকা। 

পর্যটকদের অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেলটির ম্যানেজার পরিচয় দেওয়া কফিলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের হোটেলের সব রুম বুকিং। যে একটি রুম খালি আছে সেটি একটু দাম বেশি। আজকে আমি না সবাই বাড়তি দাম দিয়ে রুম বিক্রি করছে। আমাকে একা না ধরে সবাইকে ধরেন।

এদিকে অনেক পর্যটক হোটেলে রুম না পেয়ে সড়কের পাশে সময় পার করছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, রুম ভাড়া বেশি  নেওয়ার অভিযোগটি আমরা অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। পর্যটক হয়রানি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0