আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Determination of interest rate

নতুন বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদহার নির্ধারণ করল !

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৯:১২ পিএম

নতুন বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদহার নির্ধারণ করল !

বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন বছরে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ঋণের সুদহার হবে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ভোক্তা ঋণের সুদহার প্রায় ১৩ শতাংশ।

‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এখন ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে।

চলতি বছরের জুলাইয়ে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, আগস্টে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ, অক্টোবরে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, নভেম্বরে ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং সবশেষ ডিসেম্বরে স্মার্ট রেট বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ১৪ শতাংশে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসের স্মার্ট হারের সঙ্গে এখন সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে জানুয়ারি মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করতে পারে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। অবশ্য একবার সুদহার কার্যকর করা হলে পরবর্তী ছয় মাসে তা আর পরিবর্তন করা যায় না।

ডিসেম্বর মাসের স্মার্ট হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে জানুয়ারি মাসে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। সেই হিসাবে, নতুন ২০২৪ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ সুদ নিতে পারবে। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদহার হবে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ সুদ। তবে জানুয়ারিতে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক নিতে পারবে ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ সুদ। কারণ, সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে, যা ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ ছাড়া ডিসেম্বরে বড় অঙ্কের ঋণে সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ, প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

ব্যাংকের ক্ষেত্রে শুধু ঋণে সর্বোচ্চ সীমা থাকলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত সংগ্রহেও সুদহারের একটা সর্বোচ্চ সীমা দেওয়া আছে। এসব প্রতিষ্ঠান স্মার্টের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ যোগ করে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে। ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণের বিপরীতে সুদ নিতে পারবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এনবিএফআই। সেই হিসাবে ডিসেম্বর মাসে তাদের সর্বোচ্চ ঋণের সুদহার হবে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং আমানতে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে জানুয়ারিতে ঠিক করা ঋণের এই সুদহার পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে পরিবর্তন করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, গত জানুয়ারিতে স্মার্ট ছিল ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এরপর প্রতি মাসে একটু করে বেড়ে গত মে মাসে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। জুন ও জুলাইয়ে সামান্য কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশে নামে। এরপর আগস্ট থেকে ধারাবাহিক সুদহার বাড়ছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ৯০ দশক থেকে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে বাজারভিত্তিক সুদহার ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ৯ শতাংশ সুদহারের সীমা আরোপ করা হয়। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট, সেপ্টেম্বরে মাসেও তা আবার বেড়েছে। সবশেষ গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0