ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে প্রতিবারের ন্যায় এবারো ওজন করে গরু বিক্রি করছে ‘নাবা ডেইরি অ্যান্ড ক্যাটল ফার্ম’। নাবিল গ্রুপের এই অঙ্গপ্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ও সকলের সুবিধার্থে ফার্মটিতে লাইফওয়েটে (সরাসরি ওজন করে) গরুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান কর্মরত কর্মকর্তারা। যে কোন ক্রেতা এখানে ফার্মে সরাসরি এসে কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে গরুর কেনার বুকিং দিতে পারবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
ফার্মের নিজস্ব গাড়িতে করে কোরবানির গরু গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা থাকায় ক্রেতারা পরিত্রাণ পাচ্ছে ভোগান্তি থেকে। রাজশাহীর আশেপাশের ব্যবসায়ীরা ছাড়াও ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে রাজশাহীর এই ফার্ম থেকে। ফার্মে শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান ক্রস, দেশি, গ্রির বা নেপালি জাতের ষাঁড় এ বছর কোরবানির জন্য বিক্রি করা হচ্ছে। ২৪০ থেকে ৮০০ কেজি ওজনের গরু এখানে পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান দায়িত্বরতরা। রাজশাহীর পবা উপজেলার মাহেন্দ্রা এলাকায় অবস্থিত এই নাবা ডেইরি ও ক্যাটল ফার্ম। ২১ বিঘা জমির ওপর এ ফার্ম প্রতিষ্ঠা করা হয়। ফার্মের প্রতিটি গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বেড়ে ওঠে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তাদের। এই ফার্মের গরুকে কোনো ধরনের মেডিসিন খাওয়ানো হয় না। সবুজ ঘাস ও ধানের খড় খাওয়ানো হয় বলেই জানান কর্মরতরা। ঝামেলামুক্ত গরু ক্রয়ের জন্য নাবা ডেইরী ও ক্যাটল ফার্ম এখন রাজশাহী ছাড়াও দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সুনাম কুড়িয়েছে বলেও জানান কর্মরতরা।
প্রতিষ্ঠানটির একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা প্রতিবেদককে জানান, এবারের ঈদে কোরবানি উপযোগী গরু রয়েছে ১৪০। সর্বনিম্ন ২৫০ কেজি আর সর্বোচ্চ রয়েছে ৭০০ কেজি ওজনের গরু। এছাড়াও রয়েছে গাড়ল (ভেড়া) জাতের মোট ৬ টি। তিনি আরো জানান, গরুর ওজন ও অঞ্চল ভেঁদে ৫৩০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে লাইভওয়েটে বিক্রি হচ্ছে গরু। শুরুতে ১৪০টি ষাড় ও ১৫০টি গাভী পালনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় ক্যাটল ফার্মের যাত্রা। এরপর থেকে ক্যাটল ফার্মের বিভিন্ন ক্যাটাগরির গরু পালন শুরু হয়। এখানে ষাড়, গাভী, বকনা, বাছুর ছাড়াও গাড়ল (ভেড়া) লালনপালন করা হচ্ছে।