ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় সোমবার (২৭ মে) সকালই থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিকেলে ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবেশ করে রাজধানীতে। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকে তাণ্ডব। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহতের ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টিতে এরই মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে মানুষের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবারও এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে একটি গাছ উপড়ে প্রাইভেট কারের ওপর পড়েছে। গ্রিন রোডে আড়াআড়িভাবে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে গেছে। এছাড়া, রাজধানীর আরো বিভিন্ন স্থানে ‘রেমাল’ এর তাণ্ডবে গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। পানিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় তীব্র জানযটেরও সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বিকেলে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল রবিবার রাতে উপকূলে আঘাত হানার পর সেটি শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেটি এখন স্থল নিম্নচাপ হিসেবে যশোরে অবস্থান করছে। এর একটি অংশ ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলের ওপরে অবস্থান করছে। আর তাতেই ঢাকায় দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ঢাকায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। চলতি মৌসুমে ঢাকায় এটাই সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে আজ সকাল ছয়টার দিকে, ঘণ্টায় ৫৯ কিলোমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. শামীম আহসান বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি স্থল নিম্নচাপ হিসেবে আগামীকালের পর সিলেটের ওপর দিয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে। এটি ওপরে উঠে এবং এর প্রভাবে উজানে ভারতের আসাম ও মিজোরামে বৃষ্টি ঝরবে।
ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল রবিবার রাত আটটার দিকে মোংলার দক্ষিণ–পশ্চিমের পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এরপর দেশে সবচেয়ে বেশি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে দিবাগত রাত দেড়টা থেকে দুইটা পর্যন্ত পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার।