শুক্রবার, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪
Logo
New teaching method
শিক্ষামন্ত্রী

দেশের নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে মেধাবী একটি জাতি তৈরি হবে

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশের সময়: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১২:২১পিএম

দেশের নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে মেধাবী একটি জাতি তৈরি হবে
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, দেশের নতুন শিক্ষা পদ্ধতিতে মেধাবী একটি জাতি তৈরি হবে। নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে নতুন পদ্ধতি আরও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করার বিষয়ে শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাসদের সংসদ সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষা পদ্ধতি চালু হচ্ছে ওই শিক্ষা ব্যবস্থায় মেধাবী একটি জাতি তৈরি হবে। নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত নতুন শিক্ষাক্রমের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত যা আমাদের আগামী প্রজন্মকে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার পাশাপাশি ৪র্থ শিল্প বিপ্লব, বিশ্বায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশে রূপান্তরের পথকে সুগম করবে। মন্ত্রী বলেন, অতীতে মুখস্থ নির্ভর ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে বর্তমানে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যুগের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীরা মেধাশূন্য নয়, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা আরও দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবে। ঢাকা-৫ আসরে মশিউর রহমান সজলের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নেই তেমন নয়। পূর্বের মুখস্থ নির্ভর ও সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা প্রচলিত পরীক্ষার ধারণা থেকে ভিন্ন। এর ফলে আগের মতো মুখস্থ নির্ভর পরীক্ষা না থাকার কারণে অনেকেই নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেই বলে অভিযোগ করছেন। নতুন শিক্ষাক্রমে ধারাবাহিক ও সামষ্টিক মূল্যায়নের সমন্বয়ে একটি আধুনিক কার্যকরী মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এখানে লিখিত মূল্যায়নের পাশাপাশি সমস্যা সমাধান, একক কাজ, দলীয় কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উপস্থাপন ও যোগাযোগ সক্ষমতা, সহযোগিতা, নেতৃত্ব, অর্জিত জ্ঞানের প্রয়োগ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণসহ আরও নানান উপায়ে শিখন মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী জানান, সরকার গত ১৫ বছরে ৮২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করেছে। এর মধ্যে ৫৪টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ৩৭৪টি কলেজ, ৩৪৭টি স্কুল এবং ৪৯টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নাটোর-২ আসনের শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জেএসসি ও পিএসসি সমাপনী পরীক্ষা পুনরায় চালু করার কোনো পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই। চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, বর্তমানে দেশে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫১ হাজার ২৬টি। নতুন বিধিমালার আওতায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান। সেসব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের পরিকল্পনা সরকারের নেই।