ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সর্বশেষ ‘নিরাপদ অঞ্চল’ রাফাহতেও হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ট। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে তিনি এমন ঘোষণা দেওয়ার পর চরম আতঙ্কে পড়েছেন গাজাবাসী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফাহকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েলই। তারা খান ইউনিসসহ অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দাদের রাফাহতে চলে যেতে বলেছিল। কিন্তু এখন সেখানেও হামলার অর্থ হলো— ইসরায়েলি সেনারা নতুন গণহত্যা চালাবে।
রাফাহতে বর্তমানে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ বসবাস করছেন। বাড়ি-ঘর হারিয়ে সেখানে লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। শুধুমাত্র প্রাণ বাঁচানোর জন্য— বর্তমানে ছোট্ট এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়াই গাদাগাদি করে থাকছেন মানুষ। কিন্তু এখন রাফাহতে দখলদার ইসরায়েলের মন্ত্রী হামলা চালানোর হুমকি দেওয়ায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কারণ তাদের যাওয়ার মতো আর কোনো জায়গা নেই।
রাফাহতে হামলার হুমকি দিয়ে ইয়োয়াভ গ্যালান্ট বলেছেন, ‘হামাসের খান ইউনিস ব্রিগেডকে নির্মূল করা হয়েছে। আমরা সেখানে অভিযান শেষ করব এবং রাফাহতে এটি অব্যাহত রাখব। হামাসের ওপর আমরা যত চাপ প্রয়োগ করব ততই জিম্মিদের কাছে পৌঁছাব, যা অন্য সবকিছুর চেয়ে বেশি। আমরা শেষ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখব। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।’
আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি মন্ত্রীর এ ঘোষণা নির্দেশ করছে— ফিলিস্তিনিদের জীবনকে তারা কোনো পরোয়া করে না। তাদের কাছে ফিলিস্তিনিদের কোনো মূল্য নেই।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর ওইদিন থেকেই গাজায় বর্বর হামলা চালানো শুরু করে দখলদার ইসরায়েল।
এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় গাজায় ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন আরও সাত থেকে আট হাজার ফিলিস্তিনি।
সূত্র: আলজাজিরা