শিক্ষা সফরে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ছবি তুলেছিলেন সরকারি স্কুলের এক শিক্ষিকা। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে ছাত্র ও শিক্ষিকার এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরই জেরে তদন্তের পর অভিযুক্ত সেই শিক্ষকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম পুষ্পলতা আর। তিনি কর্নাটকের চিক্কাবল্লাপুর জেলার চিন্তামণি মহকুমার মুরুগামাল্লার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
গত শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ম শ্রেণির ছাত্রের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কর্ণাটকের সেই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চিক্কাবল্লাপুরে শিক্ষা সফরের সময় অন্তরঙ্গ সেই ফটোশুটের ঘটনাটি ঘটে। বরখাস্ত হওয়ার আগে পুষ্পলতা আর মুরুগামাল্লা গ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ওই ছাত্র ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নির্জন স্থানে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা তার ছাত্রকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন এবং এমনকি একটি ছবিতে ওই ছাত্র তার শিক্ষিকাকে ওপরে তুলে কোলে বসিয়েছে বলেও দেখা যাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এসব ছবি পোস্ট করেন অমিত সিং রাজাওয়াত নামে এক ব্যক্তি। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘সমাজ হিসাবে আমরা কোথায় যাচ্ছি? কর্ণাটকের চিক্কাবাল্লাপুর জেলায় মুরুগামাল্লা সরকারি স্কুল শিক্ষিকার সঙ্গে ১০ম শ্রেণির ছাত্রের রোমান্টিক ফটোশুটের ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় ছাত্রের অভিভাবকরা শিক্ষকের আচরণের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবিতে ব্লক শিক্ষা অফিসারের (বিইও) কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সম্প্রতি শিক্ষা সফরে গিয়েছিলেন ওই স্কুল শিক্ষিকা। আর সেখানে গিয়ে এক ছাত্রর সঙ্গে প্রকাশ্যেই ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন তিনি। সেই ঘনিষ্ঠতার ছবি নিজের মোবাইলে তুলেও রাখেন ওই শিক্ষিকা।
পরে সেসব ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়াতেই ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয় অভিভাবক মহলে। প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা।
পরে ডেপুরি ডেরেক্টর অব পাবলিক ইন্সট্রাকশন (ডিডিপিআই) বাইলাঞ্জিনাপ্পা প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন।
এছাড়া তদন্তের সময় অভিযুক্ত শিক্ষিকা পুষ্পলতা আরকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষিকা দাবি করেন, ওই ছাত্রের সঙ্গে তার ‘মা ও ছেলের মতো সম্পর্ক’ রয়েছে।
এছাড়া ছাত্র-শিক্ষিকা দুজনই জানিয়েছেন, ছবিগুলো তাদের ব্যক্তিগত ছিল। কিন্তু কোনোভাবে সেগুলো ফাঁস হয়ে গেছে।