আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, বুধবার, মে ৮, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

A tough fight in all three positions looms

আগামীকাল ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখার নির্বাচন

Bijoy Bangla

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৮:১৪ এএম

আগামীকাল ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখার নির্বাচন
আগামীকাল ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখার নির্বাচন

আগামীকাল ২৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) রাজশাহী শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে কমানো হয়েছে মেয়াদকাল। এছাড়াও  হ্রাস পেয়েছে নির্বাহী বডির সদস্য সংখ্যাও। গতবারের কমিটির মেয়াদকাল ছিল তিন বছর। আর এবারের মেয়াদকাল দুইবছর। অন্যদিকে, নির্বাহী বডির সদস্য সংখ্যা দুইজন কমিয়ে করা হয়েছে সাতজনে। 

চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল ও শামস্ উর রহমান রুমিকে সদস্য এবং আজম খানকে সচিবের দায়িত্ব প্রদান করে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল এসোসিয়েশনের নির্বাচনের দিন ধার্য্য করা হয়। সংগঠনটির আজীবন সদস্য আব্দুল জাবীদ অপু এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানায় সূত্র। 

গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে ত্রি-বার্ষিক (২০২১-২৩) নির্বাচনে আসাদুজ্জামান আসাদ সভাপতি আর সামাদ খান সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গতবারের নির্বাচনটি নগরীর কুমারপাড়ায় অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলেও এবার নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। 

মোট সাতটি পদের বিপরীতে লড়বেন ১৩ জন প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে নির্বাহী সদস্য পদ ব্যতীত প্রতিটি পদের বিপরীতে দুইজন করে প্রার্থী অংশ নেবে ভোটযুদ্ধে। সভাপতি পদে লড়বেন আসাদুজ্জামান আসাদ ও শরিফুল ইসলাম তোতা, সহ-সভাপতি পদে আলী এহসান তুহিন ও শাহিন খান, সাধারণ সম্পাদক পদে সামাদ খান ও শহীদুল ইসলাম দুখু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কাবিল হোসেন ও সোহাগ আলী, অর্থ-সম্পাদক পদে মিলন শেখ ও মোখলেসুর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক পদে আজম খান ও শামিউল ইসলাম শামিম। আর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাহী সদস্য পদের প্রার্থী হয়েছেন রাশেদুর রহমান রাসেল। উল্লেখ্য, সিনিয়র ফটো সাংবাদিক ফরিদ আক্তার পরাগ সহ-সভাপতি পদের প্রার্থী হয়েও অবশেষে প্রার্থীতা প্রত্যাহর করে নেন।

সংগঠনটির মোট সদস্য ও ভোটার সংখ্যা ১৯ জন হলেও একজন সদস্য সাময়িক বহিষ্কার থাকার কারণে ভোট বাক্সের হিসেব নিকেষ হবে ১৮ জন ভোটারের বলে জানায় সূত্র। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, এবারের নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদক ও সহ সভাপতি এই তিনটি পদের লড়াই হবে বেশ কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। গতবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হওয়া প্রার্থী শহিদুল ইসলাম দুখু এবারের নির্বাচনে লড়াই করবে সভাপতি পদে। বর্তমান  (মেয়াদোত্তীর্ণ) সেক্রেটারি সামাদ খানের মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বির সাথে ভোট যুদ্ধে লড়াই করতে হবে সাবেক সহ-সভাপতি দুখুকে। অন্যদিকে, সভাপতি পদেও থাকছে দুইজন প্রার্থী। বর্তমান (মেয়াদোত্তীর্ণ) সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর সাথে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন সংগঠনটির সদস্য শরিফুল ইসলাম তোতা। তোতাও আছেন বেশ শক্তবস্থানে। সভাপতি পদের লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি বলে মন্তব্য ভোটারদের। 

অন্যদিকে, সম্পাদক পদটির নির্বাচন নিয়েও থাকছে জটিল সমীকরণ। গেলবারের সহ-সভপতি পদে বিজয়ী হওয়া দুখু এবারের সম্পাদক পদের প্রার্থী হিসেবে এখনো নিজের শক্তবস্থান ধরে রেখেছেন। তবে, আরেক প্রার্থী সামাদ খানের রয়েছে নিজস্ব কিছু ভোট ব্যাংক। যার কারণে, তিনি এক ধাপ হলেও এগিয়ে আছেন দুখুর বিপরীতে বলে মন্তব্য ভোটারদের। আর সহ-সভাপতি পদে যে দুজন প্রার্থী রয়েছে তারা একই গণমাধ্যমের কর্মী হবার কারণে এই পদে লড়াইও হবে বেশ জোড়ালো। এককথায় সর্বোচ্চ তিনটি পদেই ভোটযুদ্ধ হবে খুব কঠিণ। কেউ কাউকে বিন্দু পরিমাণও ছাড় দিতে রাজি নয় জয়ের বিপরীতে।   

নামপ্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচনের জয়-পরাজয় নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে সদস্য ও ভোটাররা বলেন, যেসকল প্রার্থী স্বার্থহীন ভাবে সেবা দেবার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তারাই এবারের নির্বাচনে জয় লাভ করবে। এছাড়াও সংগঠণের কার্যালয়ে প্রায় সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে অফিসকক্ষকে উজ্জীবিত রাখা, নিয়মিত কার্যালয় কক্ষ সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী করে রাখা, সংগঠণের প্রত্যেক সদস্যের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করাসহ কার্যালয়কে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার কাজটি যারা করছেন তারাও অনেক শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে বিজয়ী হবার ট্রাকে আছেন। 

বিবিএন/এসডি

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0