বঙ্গবন্ধুর দৌহীত্র শেখ তন্ময় এমপি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আমলে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। তখন সেশনজটে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত নষ্ট হয়েছে। নকলের মহোৎসব চলত। এখন শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
শিক্ষা বৃত্তিসহ বছরের প্রথম দিনে কোটি কোটি বই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে, যা বিশ্বে অনন্য। বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হচ্ছে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অসাম্প্রদায়িক মানবিক বিজ্ঞানমনস্ক দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন আমাদের পথপ্রদর্শক। শিক্ষার ওপর আমাদের ভাগ্য নির্ভর করে, তাই শিক্ষার বিনিয়োগ সর্ব উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা মানসন্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট।
তবে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করে শিক্ষার অগ্রগতি ব্যহত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে নানামুখী গুজব রটাচ্ছে। এদের অপপ্রচারের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাগেরহাটে প্রাইমারী টিসার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এর পাঁচতলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন কালে একথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অধীনে এ কাজে অর্থায়ন করছে বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকা, ইউনিসেফ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ সরকার।
এমপি শেখ তন্ময় আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনার মূলে রয়েছে মানবসত্ত্বার চুড়ান্ত বিকাশ। মানবিক মূল্যবোধের ত্যাগী দেশপ্রেমিক মানুষ গড়তে শিক্ষাব্যবস্থাকে তিনি ঢেলে সাজাতে সচেষ্ট ছিলেন। বঞ্চিত মানুষের মুক্তির শর্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন শিক্ষাকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে তিনি ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন।
কিন্তু ’৭৫এর ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে নজিরবিহীন পৈশাচিকতায় হত্যার পর জতিকে পিছিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যা বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ বছরে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে।
জীবনের ভিত গড়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই শিশুদের পাঠদানের ক্ষেত্রে অধিক যত্নবান হবার জন্য তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহব্বান জানান।