আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Inauguration of the book fair

বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ১০:২৮ এএম

বিকেলে বইমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
---------- ছবি : সংগৃহীত।

বছর ঘুরে আবারও ফিরে এলো এলো প্রাণের মাস, ভাষার মাস- ফেব্রুয়ারি। আর মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতি স্মরণে মাসের প্রথম দিন থেকেই পর্দা উঠছে একুশে বইমেলার।

আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ’

তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করবেন। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগৃহীত রচনা: দ্বিতীয় খণ্ড’ সহ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন। এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। ’

বরাবরের মতো এবারো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে মেলার আয়োজন। এবার বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

যে কোনো ধরনের সমালোচনা এড়াতে এ বছর বাংলা একাডেমি এককভাবে মেলার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছে উল্লেখ করেছেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, ‘আগের বছরগুলোতে কিছু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মেলার আয়োজনে জড়িত ছিল যার ফলে গত বছর কিছুটা সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। ’ মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মাসব্যাপী সেমিনারের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের জন্য ছবি আঁকা, সংগীত ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা থাকবে।

মুজাহিদুল বলেন, বিগত বছরের মতো এবারও মেলার মূল মঞ্চ হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হবে। রমনা কালী মন্দিরের পাশে সাধুসঙ্গ এলাকায় ‘শিশু চত্বর’ স্থাপন করা হয়েছে।

প্রতি কর্মদিবসে বইমেলা বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেলার নির্বিঘ্ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপি বইমেলা মাঠের ভেতরে ও বাইরে ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করবে এবং মেলার আশপাশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়াচ টাওয়ার ও ফায়ার টেন্ডার স্থাপন করা হবে।

মেলার মাঠ ও এর আশপাশের এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন নজরদারিতে থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবীবুর রহমান। ডিএমপি টিমগুলোকে পুরো অনুষ্ঠানস্থলে নজরদারি করার দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং পাশাপাশি কোন ধরনের গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করা হবে।

সূত্র: বাসস

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0