আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

58 Myanmar border guards in Bangladesh

মিয়ানমারের ৫৮ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম

মিয়ানমারের ৫৮ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে
মিয়ানমারের ৫৮ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে

সংঘাতময় মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) অর্ধশতাধিত সদস্য। মিয়ানমারের এই সীমান্তরক্ষীরা রোববার কয়েক দফায় বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ সীমানায় ঢোকেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম রাত সোয়া ৮টায় জানান, তখন পর্যন্ত বিজিপির ৫৮ জন সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা এখন আছেন বাংলাদেশের বিজিবির হেফাজতে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলছে।

শনিবার বিকালে ও রাতে সীমান্তের ওপারে রাখাইনের তুমব্রু রাইট পিলার ক্যাম্প এলাকা থেকে এলোপাতাড়ি গোলাগুলির শব্দ পান স্থানীয়রা। সকালে খবর আসে, রাতের যুদ্ধে মিয়ানমারে বর্ডার গার্ড পুলিশের একটি ফাঁড়ি আরাকান আর্মির যোদ্ধারা দখল করে নিয়েছে।

সেই ফাঁড়ির কিছু সদস্যই পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ বা আহত। তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিজিবি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাদেরকে এক জায়গায় রাখা হয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে (বিজিবি) মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন যেন তারা এদেরকে নিয়ে যান।

আরাকানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সরকারের কাছে কী তথ্য আছে- সে প্রশ্নে কামাল বলেন, “আরাকান আর্মি নামে এক বিদ্রোহী গ্রুপ রাখাইন সাম্রাজ্যের একের পর এক জায়গা দখল করে নিচ্ছে। ক্রমাগত তারা শক্তিশালী হয়ে আরো সামনের দিকে যাচ্ছে। সেখানে আর্মির সঙ্গে আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে। তাদের একের পর এক ঘাঁটিগুলো আরকান আর্মি দখল করে নিচ্ছে। আমাদের বর্ডারের সঙ্গে সংলগ্ন যেগুলো ছিল, সেগুলোও তারা দখল করে নিয়েছে।

মিয়ানমারে সশন্ত্র লড়াইয়ের মধ্যে বাংলাদেশে নতুন করে কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা যেন না ঘটে, সে দিকে সরকার সতর্ক রয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্য। তিনি বলেন, মিয়ানমারে এই যুদ্ধ কত দিন চলবে আমরা জানি না। তবে বাংলাদেশ সীমান্ত ক্রস করে কাউকে আর আসতে দেওয়া হবে না।

এই লড়াইয়ের কারণে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া নতুন করে বাধাগ্রস্ত হবে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা হতে পারে। এটা সবাই বোঝে একটা অস্থির পরিবেশ চলছে সেখানে। বিভিন্ন কারণেই প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াটা বিলম্বিত হচ্ছে। তবে সকলকে ফেরত দেওয়ার প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে।

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ, বিজিপি সদস্যের বাংলাদেশে প্রবেশ এবং বাংলাদেশের ভেতর মর্টারশেল পড়ার ঘটনাগুলো ‘উসকানিমূলক’ কি না- এই প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, না কোনো ধরনের উসকানি নেই। সবার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আমাদের দেশে মর্টারশেল পড়েছে এটা সত্য, তবে কোনো আহত নিহতের ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় ইতোমধ্যে সে দেশকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0