আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Iranian missiles

১২ মিনিটে ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৪০ পিএম

১২ মিনিটে ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র
১২ মিনিটে ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র....সংগৃহীত ছবি

সামরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইরান বিভিন্ন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরি করেছে। তাদের এই কার্যক্রম পশ্চিমা দেশগুলোকে সবসময় আতঙ্কিত করেছে।

দখলদার ইসরায়েলের ওপর এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। মূলত সিরিয়ায় অবস্থিত কনস্যুলেটে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার বদলা নিতে দখলদার ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলার ছক কষছে তেহরান।

ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তাহলে কী হবে না হবে তা নিয়ে ইসরায়েলে জল্পনা-কল্পনা চলছে।

এর মধ্যে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ইরানের কাছে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে সেটি ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে মাত্র ১২ মিনিট সময় লাগবে। আর তাদের ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সেটি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে দুই ঘণ্টার মধ্যে। ইরানের কাছে যেসব ড্রোন রয়েছে সেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের সূত্রমতে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কাছেই সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, ইরান ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান এই আকারে হামলা চালায় তাহলে এটি ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

ইরানের কাছে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কোনগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারবে, গত সপ্তাহে সেটির একটি গ্রাফিক্স তৈরি করেছে ইরানি বার্তাসংস্থা ইসনা। এতে তারা বলেছে, ইরানের ৯টি ড্রোন সরাসরি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে।

যার মধ্যে রয়েছে ‘সেজিল’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র। যেটি ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এবং এটি ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভূলভাবে আঘাত হানতে পারবে।

আরেকটি হলো ‘খেইবার’ ড্রোন। এটি ২ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। অপর আরেকটি ড্রোন হলো ‘হাজ কাশেম’। এই ড্রোন ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরের বস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

গত বছরের আগস্টে ইরান জানিয়েছিল, তারা ‘মোহাজের-১০’ নামের একটি ড্রোন তৈরি করেছে। যেটি ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এবং একটানা ২৪ ঘণ্টা আকাশে উড়তে সক্ষম। এই ড্রোনটি শুধুমাত্র এত দূর যেতে পারে শুধ তাই নয়; ড্রোনটি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক।

গত বছরের জুনে নিজ প্রযুক্তিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথাও জানিয়েছিল ইরান। একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ইরানের স্বল্পপাল্লার এবং মাঝারিপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে— শাহাব-১, যেটির আনুমানিক দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।  জোলফাঘর- ৭০০ কিমি, শাহাব-৩, ৮০০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার এবং এমাদ-১, যেটি ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

সূত্র: ইরনা, টাইমস অব ইসরায়েল

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0