আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Alleged disorderly conduct

বিমান সংস্থা ইন্ডিগোকে ১ কোটি ২০ লাখ জরিমানা

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:৫৩ এএম

বিমান সংস্থা ইন্ডিগোকে ১ কোটি ২০ লাখ জরিমানা

 শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ভারতীয় বিমান সংস্থা ইন্ডিগোকে ১ কোটি ২০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। ফ্লাইট বিলম্বের মধ্যে যাত্রীদের টারম্যাকে বসে খাবার খাওয়ার একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর তাদেরকে এই জরিমানা করে ভারতের ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস)।

এছাড়া মুম্বাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকেও মোটা অংকের জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফ্লাইট বিলম্বের মধ্যে যাত্রীদের টারম্যাকে বসে খাবার খাওয়ার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

আর এরপরই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ভারতীয় লো-কস্ট ক্যারিয়ার ইন্ডিগোকে ১ কোটি ২০ লাখ রুপি জরিমানা করে ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস)।

এছাড়া ভারতের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিওটি নজরে নেয় এবং নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য মুম্বাই বিমানবন্দরকে ৩০ লাখ রুপি অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।

এর আগে যাত্রীদের টারম্যাকে বসে খাবার খাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর গত মঙ্গলবার দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় (এমওসিএ) ইন্ডিগো এয়ারলাইনস এবং মুম্বাই বিমানবন্দরকে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করেছিল।

এনডিটিভি বলছে, ইন্ডিগোকে জরিমানাকৃত অর্থ আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রদান করতে বলেছে ব্যুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি। আর এটি সাম্প্রতিক সময়ে কোনও বিমান সংস্থার ওপর আরোপিত সর্বোচ্চ অংকের জরিমানা বলেও জানানো হয়েছে।

মূলত ঘন কুয়াশার জেরে গত সোমবার ভারতজুড়ে বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তারই মাঝে মুম্বাই বিমানবন্দরের রানওয়েতে বসে রাতের খাবার খেয়েছিলেন ফ্লাইটের যাত্রীরা। ভাইরাল সেই ভিডিও দেখার পর মঙ্গলবারই ইন্ডিগো এবং মুম্বাই বিমানবন্দরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

এছাড়া বিসিএএস-এর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিমানবন্দরের টারম্যাকে এভাবে যাত্রীদের খাবার খাওয়ার ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ২০০৭ সালের বিমান পরিবহন সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সামনে এনে বিসিএএস জানিয়েছে, ‘এই ঘটনা যাত্রী এবং বিমানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

এমনকি কুয়াশার কারণে যে কম দৃশ্যমানতার কথা বলা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিসিএএস। মূলত ঘন কুয়াশার প্রস্তুতি হিসেবে গত ৬ নভেম্বর বিভিন্ন বিমান সংস্থাকে নিয়ে ডিরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের সদর দপ্তরে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।

সেখানে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, এমন পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ পাইলটদের দিয়ে বিমান পরিষেবা অক্ষুন্ন রাখতে হবে। এজন্য প্রতিটি বিমান সংস্থাকে পাইলটদের রোস্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হলেও দুটি বিমান সংস্থা সেই রোস্টার তৈরি করেনি।

যার জেরে গত ২ জানুয়ারি স্পাইসজেট এবং এয়ার ইন্ডিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এমনকি নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে দুটি বিমান সংস্থাকে ৩০ লাখ রুপি করে জরিমানাও করা হয়।


google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0