আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, বুধবার, মে ৮, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

The bridge collapsed due to the wind

বাতাসের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল সেতু॥প্রাণে বাঁচলো বহু মানুষ

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০:১৪ এএম

বাতাসের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল সেতু॥প্রাণে বাঁচলো বহু মানুষ
নির্মাণাধীন সেই সেতুটি প্রবল বাতাসের ধাক্কায় অবশেষে ভেঙে পড়েছে।....সংগৃহীত ছবি

এক বছরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সাত বছরেও তা শেষ করা সম্ভব হয়নি। নির্মাণাধীন সেই সেতুটি প্রবল বাতাসের ধাক্কায় অবশেষে ভেঙে পড়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সোমবার রাতে ভারতের তেলেঙ্গানার পেদ্দাপল্লী জেলায় নির্মাণাধীন ওই সেতুর একাংশ বাতাসের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই এলাকায় প্রবল বাতাসের কারণে নির্মাণাধীন সেতুটির প্রায় ১০০ ফুট দূরত্বের দু’টি পিলারের মাঝের অংশের দুটি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়েছে। সেতুটির অবশিষ্ট তিনটি গার্ডারও যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সেতুটি থেকে ৬০০ মিটার দূরে অবস্থিতি ওদেদু গ্রামের বাসিন্দা সিকিকোন্ডা বাক্কো রাও এনডিটিভিকে বলেছেন, সৌভাগ্যবশত সেতুটি ভেঙে পড়ার মাত্র এক মিনিট আগে একটি বাসে করে ৬৫ জন যাত্রী এর নিচ দিয়ে চলে যান। বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া এই বাসের যাত্রীরা কংক্রিটের নিচে পিষ্ট হওয়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন।

২০১৬ সালে তেলঙ্গানা বিধানসভার তৎকালীন স্পিকার এস মধুসুধন চারি ও স্থানীয় বিধায়ক পুত্তা মধু মানাইর নদীর বুকে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজের  উদ্বোধন করেন। সেতুটির নির্মাণের জন্য প্রায় ৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এক বছরের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেতুটি নির্মাণ হলে সেখানকার তিনটি শহর— মানথানি, পারাকাল ও জাম্মিকুন্টার মাঝে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে। সেতুটি ভূপালপল্লির টেকুমাতলা মণ্ডলের গারমিল্লাপল্লুর সাথে পেদ্দাপল্লীর ওদেদেদুকে সংযুক্ত করবে।

স্থানীয়রা বলেছেন, কমিশনের চাপে এবং সরকার বকেয়া পরিশোধ না করায় ঠিকাদার এক বা দুই বছরের মধ্যে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। বাক্কো রাও বলেন, একই ঠিকাদার ভেমুলাওয়াড়ায় একটি সেতু নির্মাণ করেছিল। ওই সেতুটি ২০২১ সালে প্রবল বৃষ্টিতে ধসে যায়। গত পাঁচ বছর ধরে সেতুটির নিচে মাটির রাস্তা তৈরি করে গ্রামবাসীরা একই পথ ব্যবহার করে আসছেন।

সন্দীপ রাও নামের অপর এক বাসিন্দা বলেন, ‌‌‘‘প্রকল্পর খরচ বাড়ানো হয়েছিল এবং গত বছর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ না করেই আরও ১১ কোটি রূপি অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।’’

সূত্র: এনডিটিভি

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0