আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ২০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

7 Java fishes caught in fishermen's nets

মালঞ্চ নদীতে জেলেদের জালে ধরা ৭টি জাভা মাছসহ মোট ১৯টি মাছ বিক্রি

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ১১:৫৩ এএম

মালঞ্চ নদীতে জেলেদের জালে ধরা ৭টি জাভা মাছসহ মোট ১৯টি মাছ বিক্রি
৭টি জাভা মাছসহ মোট ১৯টি মাছ বিক্রি হয়েছে তিন লাখ ৫৩ হাজার টাকায়।

সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দারবাড়ীয় মালঞ্চ নদীতে জেলেদের জালে ধরা ৭টি জাভা মাছসহ মোট ১৯টি মাছ বিক্রি হয়েছে তিন লাখ ৫৩ হাজার টাকায়। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) খোলপেটুয়া নদীর নীলডুমুর খেয়াঘাটে বাজারে মাছটি বিক্রি করা হয়। এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের মালঞ্চ নদী থেকে জেলেরা মাছগুলো ধরেন।

জেলেদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চলতি মাসের ১৫ ফেব্রুয়ারি বনবিভাগ থেকে পাস নিয়ে দুইটি নৌকায় সুন্দরবনে মাছ ধরতে যায় শ্যামনগর উপজেলার পারশেমারি গ্রামের বারিক খাঁ, শহিদুল ইসলামসহ মোট ১০ জন জেলে। গেল ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মালঞ্চ নদীতে তার জালে ধরা পড়ে দুটি জাভা ভোল মাছ ও ১০টি মেদ মাছ। মাছগুলো বরফ দ্বারা সংরক্ষণ করে শনিবার সকালে শ্যামনগরের নীলডুমুর খেয়াঘাটে আনার পর নিলামে বিক্রি হয় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায়। মাছগুলো নিলামে কিনে নেন উপজেলার কলবাড়ি এলাকার মাছ ব্যবসায়ী আবদুস ছাত্তার।  মাছ বিক্রির অর্থটি ১০ জন জেলের মধ্যে ভাগাভাগি হবে বলে জানা গেছে।

জেলে শহীদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবন থেকে পাস নিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি মাছ ধরতে যায় ১০ জন জেলে। ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রথম জালে জাভা মাছ ধরা পড়ে ৭টি, একই দিন বিকেলে ১০ টি মেদ মাছ দুইটি সিলেট মাছ ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে উপকূলে আসার সুযোগ না থাকায় বরফ দিয়ে মাছগুলো সংরক্ষণ করা হয়। শনিবার সকালে উপকূলের নীলডুমুর খেয়াঘাট মাছের আড়ৎ নিলামে তুলে পৃথকভাবে মোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। বিক্রির পুরো অর্থটি সব জেলেদের মধ্যে ভাগাভাগি করা হবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে মাছের সঠিক দাম পেতে কষ্টকর হয়ে যায়। একটি সিন্ডিকেট দ্বারা মাছের বাজার নিয়ন্ত্রিত হয় ফলে জেলেরা মাছের সঠিক দাম পেতে গিয়ে হিমশিত খেতে হয়।

স্থানীয় মাছ ব্যসায়ীরা বলেন, জাভা মাছ পাওয়াটা কষ্টকর। এ মাছের ফুলকা অত্যন্ত মূল্যবান। ওষুধ তৈরিতে মাছটির ফুলকার কার্যকারিতা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের থেকে ওষুধ কোম্পানিগুলো মাছটি ক্রয় করে থাকেন। চলতি বছরে এর আগেও ২৫ কেজি ওজনের একটি জাভা ভোল মাছ পেয়েছিল স্থানীয় জেলেরা।

শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য সিনিয়র কর্মকর্তা তুষার মজুমদার  বলেন, চলতি মৌসুমে দুইবার জাভা ভোল মাছ পেয়েছে জেলেরা। জেলেদের মাছের ন্যায্য দামের বিষয়ে অফিসিয়ালি দেখভাল করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জেলেদের জালা ধরা পড়া জাভা ভোল মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। সাধারণত থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরে এই মাছের ব্যাপক চাহিদা আছে। সেখানকার রেস্টুরেন্টে সুপ তৈরিতে মাছটির বেশ খ্যাতি রয়েছে।

বিবিএন / কল্পনা 

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0