ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হয়ে কারাগারে গেছেন বাংলাদেশি ১০ যুবক।
পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে আয়োজিত পৌষ সংক্রান্তি মেলায় বেড়াতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে আটক হয়ে কারাগারে গেছেন বাংলাদেশি ১০ যুবক। তাদের সবার বাড়ি রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নে।
বিএসএফ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) তাদের আটক করে। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে ২৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁদের।
রবিউল, মো. ইসমাইল, সোহেল, হাসান, আল আমিন, আবদুল জলিল, মো. বেলাল, সুমন, আব্দুস সালাম ও মো. শামসুদ্দিন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিনের ভাই মো. মনির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গত শুক্রবার আমরা ৩২ জন ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার তীর্থমুখ এলাকায় ডুম্বুর লেকে পৌষ সংক্রান্তি মেলায় যাই। বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেকেই এই মেলা দেখতে যায়। গত শুক্রবার দুই ভাগে ভাগ হয়ে আমরা মেলা থেকে ফিরছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি ওরা বিএসএফের হাতে আটক হয়েছে।
আটারকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পৌষ সংক্রান্তি পূজা উপলক্ষ্যে একটি মেলা হয়। প্রতি বছর রাঙামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ভারতের সীমান্ত দিয়ে অনেক মানুষ এই মেলায় যাতায়াত করে।
তেমনি আমার ইউনিয়ন থেকেও অনেকে এই মেলায় গিয়েছে। কিন্তু শুক্রবার মেলায় যাওয়ার পথে কোনো এক বাংলাদেশি বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলতি ছুড়ে, এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ধরপাকড় শুরু করে। সেই ধরপাকড়ে শুক্রবার দুপুরে আমার ইউনিয়নের ১০ জনকে আটক করে বিএসএফ। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে আদালতের মাধ্যমে তাদের ২৫ দিনের কারাদণ্ড হয়।
তিনি আরও বলেন, তাদের কারও কাছেই পাসপোর্ট ও ভিসা ছিল না। বর্তমানে তারা গন্ডাঝড়া কারাগারে আছে। ২৫ দিনের কারাদণ্ড শেষে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হবে বলে জানতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পূজা উপলক্ষ্যে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সেই মেলায় অংশ নেন।