আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Babudaing Alo's classroom

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় নানা কর্মসূচি

Bijoy Bangla

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় নানা কর্মসূচি
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় নানা কর্মসূচি

ক্বেরাত ও গজল গাওয়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়ার মধ্য দিয়ে প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন করা হয়েছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাবুডাইং গ্রামে অবস্থিত বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের ইসলাম ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বেলা ১১টায় কোরআন থেকে তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তেলোয়াত করে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহারিমা খাতুন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী, আদর্শ ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর, সহকারী প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র দাস, সহকারী শিক্ষক সোনিয়া খাতুন, শিরিনা খাতুন, হেলাল উদ্দিন শেখ নাসিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক সাঈদ মাহমুদ।

আলোচনা সভা শেষে ক্বেরাত ও গজল গাওয়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দুটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে বই উপহার দেয়া হয়। এছাড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া সকলকেই বই উপহার দেয়া হয়। ক্বেরাত প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে পঞ্চম শ্রেণির মরিয়ম খাতুন, তৃতীয় শ্রেণির মোসলেমা খাতুন ও ষষ্ঠ শ্রেণির লিজা খাতুন। অন্যদিকে গজল প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে তৃতীয় শ্রেণির মরিয়ম খাতুন, ষষ্ঠ শ্রেণির তাহারিমা খাতুন ও শামিমা খাতুন। শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হেলাল উদ্দিন শেখ নাসিম।


বক্তারা বলেন, মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য মহান আল্লাহ্ তাআলা যুগে যুগে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। ইসলামের নবী রাসুলে করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। তিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী ও রাসুল। নবুয়ত লাভের অনেক আগেই তিনি সততা ও সত্যবাদিতার জন্য ‘আল আমিন’ উপাধিতে ভূষিত হন। আরবের বিবদমান সব সম্প্রদায় তাঁকে প্রিয় নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। মহানবী (সা.)-এর মধ্যে করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, সহিষ্ণুতা, ন্যায়পরায়ণতাসহ অনন্য সব মানবিক গুণের সম্মিলন ঘটেছিল। আরব ভূখন্ডে এমন এক সময়ে মহানবী (সা.) এসেছিলেন, যখন অঞ্চলটি ছিল কুসংস্কার, অশিক্ষা ও গোষ্ঠীগত হানাহানিতে আচ্ছন্ন। ক্রীতদাস প্রথাসহ নানা রকম সামাজিক অনাচারে নিমজ্জিত ছিল। নারীর প্রতি ছিল চরম বৈষম্য। গোত্রে গোত্রে বিবাদ ও প্রাণঘাতী লড়াই চলছিল যুগ যুগ ধরে। সেই ঘোর অন্ধকার সময়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আসেন আলোকবর্তিকা হয়ে। অন্যায়-অবিচার-অজ্ঞানতার আঁধার থেকে তিনি মানুষকে নিয়ে গেছেন সত্য ও ন্যায়ের পথে। মহানবী (সা.) শিখিয়েছেন সামাজিক ন্যায়বিচার, পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা। তিনি মানুষকে সংযমী হওয়ার শিক্ষা যেমন দিয়েছেন, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনেও এসবের অনুশীলন করেছেন। সমাজসংস্কারক হিসেবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বকালের আদর্শ। যে সমাজে কন্যাশিশুকে জীবিত কবর দেওয়া হতো, সেই সমাজে তিনি নারীর শিক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শত্রুর প্রতি ক্ষমা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আমরা যদি মহানবী (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা নিই, তাহলে আমাদের দায়িত্ব হবে আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভূত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করা। তিনি শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধের যে মহান শিক্ষা দিয়ে গেছেন, তা ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অনুশীলনের মাধ্যমেই সমাজে শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হতে পারে। মহানবী (সা.)-এর শিক্ষাই হোক আমাদের পাথেয়।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0