বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদযাত্রার প্রথম দিনে পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ঘণ্টাতেই রংপুর বিভাগের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এ নিয়ে হাহাকার দেখা গেছে যাত্রীদের মধ্যে। আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে পশ্চিমাঞ্চল আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। পশ্চিমাঞ্চলের অন্য দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনায় এখনো কিছু টিকিট অবিক্রীত রয়েছে। প্রথম ঘণ্টাতে পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ হাজার ১৫৭টি টিকিটের মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৯৪০টি।
পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উত্তরবঙ্গের ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী একতা, দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
এর পরই রয়েছে ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম ও রংপুর এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নীলফামারী রুটের চিলাহাটি ও নীলসাগর এক্সপ্রেসের চাহিদা। এই তিন রুটের টিকিট প্রথম ১০ মিনিটেই শেষ হয়ে গেছে গতকালের মতোই।
আর ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে চলাচলকারী একমাত্র আন্তনগর ট্রেন লালমণি এক্সপ্রেস হওয়ায় এই রুটের টিকিটও দ্রুততম সময়ে শেষ হয়ে গেছে বরাবরের মতো।
অন্যদিকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় চলাচলকারী চারটি আন্তনগর পদ্মা, সিল্কসিটি, বনলতা ও ধুমকেতু এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি হতে সময় লেগেছে মাত্র এক ঘণ্টা। আর যশোর ও খুলনা অঞ্চলের তিন আন্তনগর ট্রেন বেনাপোল, সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসের টিকিট এখনো কিছু অবিক্রীত রয়েছে।
সামাজিক যেগাযোগ মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বিক্রি নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে টিকিট প্রাপ্তি ও হতাশা নিয়ে দেখা গেছে, চলছে নানা মন্তব্য।
আব্দুর রহমান নামে একজন তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, তিনিনযাবেন ঠাকুরগাঁওয়ে। ‘আধা ঘণ্টা চেষ্টা করে দুটি টিকিট কাটতে পেরেছি।’ তবে মানিক নামের আরেক যাত্রী লিখেছেন, ‘টিকিট ছাড়ার আধা ঘণ্টা আগে ঢুকে বসে থাকলেও টিকিট পাইনি।
সেখানে আব্দুল নামের এক যাত্রী লিখেছেন, ‘অনেকে টিকিট কাটতে পারেনিন, টিকিট কাটার নিয়ম জানে না বলে।