আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, রবিবার, জুলাই ৭, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Cabinet meeting

সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে অনুমোদন লাগবে

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক :

প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল, ২০২৪, ১১:৪২ পিএম

সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে অনুমোদন লাগবে
.....সংগৃহীত ছবি

সেবা অন্তর্ভুক্ত করে ‘আমদানি ও রপ্তানি আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। নতুন আইনানুযায়ী, সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতার ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে শিথিল হলো আয়ের সীমা। বছরে ১২ হাজার নয়, ১৫ হাজার টাকার কম আয় করা বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীরা ভাতার আওতায় আসবেন। 

মন্ত্রিসভা আয়ের সীমা শিথিল করে ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে নতুন আইন অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের একথা বলেন। তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও নিষিদ্ধকরণের ১৯৫০ সালের আইন আছে। পুরানো আইনগুলো পর্যায়ক্রমে যুগোপযোগী করার নির্দেশনা আছে। এ জন্য নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে।

আগের আইনে নতুন করে কিছু বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। আগে শুধু পণ্যের কথা বলা ছিল। এখন বাণিজ্যিকভাবে সেবা কার্যক্রমকেও এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেবা আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। এ আইনের আওতায় পণ্যের পাশাপাশি সেবাকে যুক্ত করা হয়েছে।

খসড়া আইনে থাকা সেবার সংজ্ঞা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের অধীন জেনারেল এগ্রিমেন্ট অন ট্রেড ইন সার্ভিস চুক্তিতে বর্ণিত সংজ্ঞা অনুযায়ী সরকার কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধ করতে পারবে। এ সম্পর্কিত আদেশ ও বিধিবিধান প্রণয়ন করতে পারবে। আমদানি ও রপ্তানি নীতি প্রণয়নের দায়িত্ব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সভায় ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’, ‘বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৪’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এ আইনগুলো গত সরকারের মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলেও তা সংসদে বিল আকারে পাস হয়নি। তাই সরকার পরিবর্তনের কারণে নতুন করে আইনগুলো মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য এসেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

বিধবা-স্বামী নিগৃহীতা ভাতা পেতে শিথিল হলো আয়ের সীমা ॥ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে শিথিল হলো আয়ের সীমা। বছরে ১২ হাজার নয়, ১৫ হাজার টাকার কম আয় করা বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীরা ভাতার আওতায় আসবেন। আয়ের সীমা শিথিল করে ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা, ২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারের একটি খুব বড় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি হলো বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন। এটি প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৮-৯৯ সালে শুরু করেন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তাকে ভাতা দেওয়া হয়েছে। তাদের মাসিক ৫৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। এখন সেই নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের নীতিমালায় কারা ভাতা পাবেন সেই যোগ্যতার ক্ষেত্রে বলা ছিল- তার ব্যক্তিগত বাৎসরিক আয় ১২ হাজার টাকার নিচে হতে হবে। এখন এটা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বছরে যারা ১৫ হাজার টাকার কম আয় করেন তারা ভাতার আওতায় আসবেন।

এখন ভাতাগ্রহীতা প্রতিজনকে মাসে ৫৫০ টাকা করে দেওয়া হয়। মোট ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জনকে এ ভাতা দেওয়া হয়। নতুন নীতিমালায় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে ভাতা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জিটুপি (সরকার থেকে ব্যক্তি) ভিত্তিতে এ ভাতা পরিশোধ করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে পরীক্ষামূলকভাবে ম্যানেজমেন্ট নেটওয়ার্ক পদ্ধতির মাধ্যমে অনলাইনে বাছাইয়ের যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেটি এই নীতিমালায় প্রাতিষ্ঠানিক করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে এবং অনলাইনে বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। ওখানে একটা যাচাই-বছাই সিস্টেম থাকবে, সেখানে যারা নির্বাচিত হবেন তারাই ভাতা পাবেন।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0