আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শুক্রবার, জুলাই ১০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

D. Kamal Uddin

নির্বাচন বর্জনের প্রচারণাও গণতান্ত্রিক অধিকার॥ আটক অনৈতিক

Bijoy Bangla

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম

নির্বাচন বর্জনের প্রচারণা থেকে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে আটক করে নিয়ে যায়, সেটি অনৈতিক বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ভোটে অংশ নেওয়ার অধিকার যেমন রয়েছে, ভোট বর্জনের অধিকারও মানুষের রয়েছে। সুতরাং আইন অনুযায়ী দুই পক্ষকেই সমান সুযোগ দিতে হবে।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে মার্কিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ড. কামাল উদ্দিন।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দেওয়া যাবে না, এটা তাদের অধিকার। একইসঙ্গে নির্বাচন বর্জনের বিষয়েও তারা প্রচারণা করতে পারবে, এটাও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সুতরাং কেউ যদি নির্বাচন বর্জনের প্রচারণা করতে যায়, তবে তাকে আটক করাটা মোটেও ঠিক নয়।

তিনি বলেন, যেকোনো নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত থাকতে পারে। তবে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করা যাবে না। বিশেষত আমরা অতীতের নির্বাচনে এবং নির্বাচন পরবর্তী নানা সহিংসতা দেখেছি। পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে যে সহিংসতা হয়েছে, সেটা যেন এ নির্বাচনে না হয়, সে বিষয়েও কথা হয়েছে।

ড. কামাল উদ্দিন বলেন, নির্বাচনে আমরা দেখছি ৪২টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে কেউ বা কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশ নিতে না চায়, এটা একান্ত তাদের ব্যাপার। এতে কারও কোনো কিছু বলার নেই।

সভায় পর্যবেক্ষক দল বিএনপির নির্বাচন বর্জন প্রসঙ্গে কিছু বলেছে কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় কোনো উদ্বেগ নেই তাদের। এমনকি আজকের মতবিনিময় সভায় বিএনপি নিয়ে একবারও কোনো কথা এই প্রতিনিধি দল বলেনি। তারা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে থাকবেন এবং নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিও তারা পর্যবেক্ষণ করবেন।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়ে জানতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)।

এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই মিশনের পক্ষ থেকে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ক্রিস্পিন কাহেরু (বিশ্লেষক), নেনাদ মারিনোভিক (বিশ্লেষক), ইভাইলো পেন্টচেভ (বিশ্লেষক), মরিয়ম তাবাতাদজে (বিশ্লেষক)। এছাড়াও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজাসহ কমিশনের সদস্যরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ গভীরভাবে মূল্যায়ন করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই লক্ষ্যে দেশটির দুটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান দুটি মনে করছে, দেশের অতীতের দুটি জাতীয় নির্বাচন দেশে-বিদেশে নানা বিতর্ক তৈরি করেছে। এ কারণে আগামীতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশকে এতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0