আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, শুক্রবার, জুলাই ১০, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

logo

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামত হচ্ছে ১০০ কোচ

100 coaches are being repaired at Syedpur Railway Factory


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত:  ০৩ জুলাই, ২০২৪, ১১:০৭ পিএম

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামত হচ্ছে ১০০ কোচ
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামত হচ্ছে ১০০ কোচ

সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়া ১০০টি কোচ মেরামত হচ্ছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায়। রাজস্ব খাতের বাইরে প্রকল্পের আওতায় ওই কোচগুলো ভারী মেরামত বা পুনর্বাসন হচ্ছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা সূত্র জানায়, ১০০টি সম্পূর্ণ ড্যামেজ কোচ মেরামতের ইতিমধ্যে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়। এসবের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। ওই কোচগুলো প্রকল্পের আওতায় এনে সম্পূর্ণ সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কোচগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রডগেজ (বড়) লাইনের ৫০টি ও মিটার গেজ (ছোট) লাইনের ৫০টি। ওই কোচগুলোর সুপার স্ট্রাকচার খুলে দিয়ে সম্পূর্ণ অবকাঠামো নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।

সূত্রটি জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় রাজস্ব খাতের আওতায় প্রতিদিন দুটি করে কোচ মেরামত হয়ে থাকে। এর অতিরিক্ত হিসেবে প্রকল্পের আওতায় কারখানার ক্যারেজ শপে ওই ১০০টি কোচ সম্পূর্ণ পুনর্বাসন হচ্ছে। কারখানার অবসরপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীরা স্বাভাবিক কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। এজন্য তারা পাবেন বাড়তি মজুরি। একজন প্রকল্প পরিচালকের তদারকিতে চলতি বছরের শুরু থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এরই মধ্যে ৩টি কোচ পুনর্বাসন হয়েছে।

গত ২৫ মে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা পরিদর্শন করেন  বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী। এ সময় তিনি কোচগুলোর মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

সরজমিনে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় গেলে দেখা যায়, রেলের অবসরপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রকল্পের অধীনে কাজ করছেন। সেখানে কথা হয় রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানা শাখার সম্পাদক শেখ রোবায়তুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, দারুণ কাজ হচ্ছে। ড্যামেজ কোচগুলো নতুন হয়ে উঠছে। খুবই বিষ্ময়কর। আমাদের সক্ষমতা আছে, আমরা চাইলে নতুন কোচ তৈরি করতে পারি। তবে এজন্য প্রয়োজন কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন। আমরা কোচ বানালে অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।  

এনিয়ে কথা হয় প্রকল্প পরিচালক ও পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী সাদেকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, নতুন অর্থবছরে আমরা সবগুলো কোচ পুনর্বাসন করে রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করতে পারবো। কোচগুলোর হবে অত্যন্ত উন্নতমানের। এরই মধ্যে আমরা তিনটি কোচ পুনর্বাসন করেছি। এসব কোচ দ্রুত ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0