The media is requested to be careful in publishing news about the police
অনলাইন ডেস্ক: প্রকাশিত: ০১ জুলাই, ২০২৪, ০৭:১৭ এএম
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘অতিরঞ্জিত’ আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ)।
শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি দাবি করেছে, সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আংশিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঢালাও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে।
পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন এবং সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছে বিপিএসএ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী চক্র নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যেমন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ও পেট্রল বোমাবাজদের প্রতিহত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সফলতা দেখিয়েছে। সে কারণে ওই গোষ্ঠী প্রতিপক্ষ বিবেচনায় প্রতিনিয়ত পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনায় লিপ্ত।
স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্র, তাদের দোসর, বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসীরা ধারাবাহিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের চরিত্র হননে ব্যস্ত।
তাদেরই অনুকরণে ইদানীং কোনো কোনো গণমাধ্যম বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান ও সাবেক সদস্য সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মানহানিকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে, যা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার হীন উদ্দেশ্য বলে প্রতীয়মান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এমতাবস্থায়, কী কারণে, কার উদ্দেশ্য হাসিল এবং কার ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের জন্য কতিপয় মিডিয়া বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরনের কুৎসা রটনায় লিপ্ত, সেই প্রশ্ন উত্থাপন করা অযৌক্তিক নয়।
বাংলাদেশ পুলিশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সর্বদা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে আসছে। কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হয় না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।