A healthy way to fast
অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত: ২১ মে, ২০২৫, ০৯:২৫ এএম
পবিত্র রমজানে নিজের সুস্থতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসময় অসুস্থ হলে আপনার পক্ষে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। যেহেতু এই এক মাসের খাদ্যাভ্যাস অন্যান্য মাসের মতো নয়, তাই এসময় খাবারের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। সারাদিন রোজা রাখার কারণে ইফতারে আপনার নানা পদের মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হতেই পারে, কিন্তু সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া সবার আগে জরুরি। তাই এমন সব খাবারই বেছে নিতে হবে যেগুলো আপনাকে সুস্থ রাখতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে প্রচুর পানি দিয়ে আপনার রোজা শুরু এবং শেষ করুন। অর্থাৎ সাহরি ও ইফতারে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সারাদিন হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় রাখতে ইফতারের পর থেকে সাহরির সময় পর্যন্ত তরমুজ, শসা এবং স্যুপের মতো হাইড্রেটিং খাবার খান।
ভারসাম্যপূর্ণ খাবার বেছে নিন। জটিল কার্বোহাইড্রেট, চর্বিহীন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে এবং রোজার সময় তৃপ্তি বাড়াতে কাজ করে। হজমের অস্বস্তি রোধ করতে ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
সাহরিতে পুষ্টিকর খাবার খান। ওটস, দানা শস্য, ডিম এবং দইয়ের মতো ধীর-হজমকারী খাবার খান। এতে সারাদিন শক্তি থাকবে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে রোজার সময় তৃষ্ণা ও পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে, মেজাজ ভালো রাখতে এবং পেশীর ভর বজায় রাখতে রোজা ভাঙার পর হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা, যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিংয়ের মতো কাজগুলো বেছে নিন। শক্তি সংরক্ষণের জন্য রোজা থেকে কঠোর ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
ধীরে ধীরে চিবিয়ে, প্রতিটি কামড়ের স্বাদ গ্রহণ করে এবং পেট ভরে খাবার খান। পেট ভরে গেলেও চোখের ক্ষুধায় আরও খেয়ে ফেলবেন না। সাহরি এবং ইফতার, দুই সময়েই এদিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খাবেন।
ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পর্যাপ্ত গ্রহণ নিশ্চিত করতে আপনার খাবারে বিভিন্ন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। যেমন ফল, শাকসবজি, বাদাম, বীজ এবং লেবু। খাবারকে আকর্ষণীয় এবং তৃপ্তিদায়ক রাখতে ভিন্ন ভিন্ন রান্না তৈরি করতে পারেন।
রমজান মাসে খাদ্যজনিত অসুস্থতা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত হাত ধোয়া, সঠিক খাদ্য খাওয়া, এবং খাবার তৈরির স্থান ও পাত্র পরিষ্কার করা সহ ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন বজায় রাখুন।
মানসিক সুস্থতা বাড়াতে এবং কর্টিসলের মাত্রা কমাতে গভীর শ্বাস, ধ্যান, প্রার্থনা এবং প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশলগুলোকে অগ্রাধিকার দিন, যা ক্ষুধা এবং হজমকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিবিএন/০৯ মার্চ/এসডি