আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, রবিবার, মে ১২, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

logo
পুনরায় চুক্তির চেষ্টায় তারা

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রশাসনকে গিলে ফেলছে

Contractual employment


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশিত:  ১১ মে, ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রশাসনকে গিলে ফেলছে
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রশাসনকে গিলে ফেলছে __প্রতীকী ছবি

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রশাসনকে গিলে ফেলছে। চুক্তির চাপে পিষ্ট হয়ে গেছে প্রশাসন। আর এই চুক্তির বেড়াজাল থেকে সরকারও বেরিয়ে আসতে পারেনি। সরকার বার বার ঘোষণা করছে আর বিনা প্রয়োজনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে না। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন চাপের কাছে সরকারকে নতিস্বীকার করতে হচ্ছে। সর্বশেষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক।নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, যারা ইতোমধ্যে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন এবং চুক্তিতে আছেন, যাদের চুক্তির মেয়াদ এখন শেষ হয়ে যাচ্ছে, তারা নতুন করে চুক্তি করার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন, দেন দরবার করছেন, তদবির করছেন। আবার চুক্তির চেষ্টায় তারা বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল গত বছরের ১৮ মে। তাকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তপন কান্তি ঘোষকে সেই সময় কেন চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে যেমন অনেকের কৌতূহল রয়েছে, তেমনই তিনি আবার নতুন করে চুক্তি পাওয়ার আশায় মরিয়া চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছেন। 

একইভাবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা এ বি এম আজাদকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ১৪ এপ্রিল তার স্বাভাবিক চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে কেন চুক্তিতে নিয়োগ দিতে হবে এ নিয়ে সেসময় প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু তারপরও তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন। এখন আবার নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার জন্য তিনি দেন দরবার করছেন, চেষ্টা করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। বিদ্যুত্ এবং জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তিনি সখ্যতা বাড়িয়ে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী ২৫ মে। তিনি এক বছরের চুক্তিতে আছেন। তার চুক্তি আবার নবায়ন করা হতে পারে এমন গুঞ্জনও বাজারে রয়েছে। 

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আনিছুর রহমান মিঞা, যিনি সচিব পদমর্যাদায় আছেন। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ঘটনায় রাজউকের ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এই ব্যর্থতার অভিযোগের দায় রাজউকের চেয়ারম্যানের গা স্পর্শ করে নেই। গত বছরের ২ এপ্রিল তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার তিনি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবার দরবার এবং বিভিন্ন জায়গায় তদবির করছেন। যখন বেইলি রোডে আগুন এবং বিভিন্ন ভবনে অরাজকতা বিরাজ করছে তখন রাজউকের চেয়ারম্যানের নতুন করে চুক্তি লাভের চেষ্টা সকলের কাছে বিস্ময়কর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। 

বাংলাদেশে একবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার পর আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার রেওয়াজ ইতোমধ্যে চালু হয়ে গেছে। একাধিকবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। এছাড়া রাষ্ট্রপতির সচিবও একাধিকবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। এখন এই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে। এখন যারা চুক্তিতে আছেন তারা নতুন করে চুক্তির জন্য দেন দরবার এবং তদবির করে যাচ্ছেন।  বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই দেন দরবার এবং তদবির প্রশাসনের স্বাভাবিক গতিকে ছন্দপতন করাবে।

সূত্র: বাংলা ইনসাইডার

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0