ভোটপ্রচারে দেশের অন্য প্রান্তকে টেক্কা দিয়েছে বাংলা। আর বাংলার শাসকদল টেক্কা দিল বিরোধীদের। রাজ্যে প্রচার কর্মসূচির নিরিখে সবার থেকে এগিয়ে তৃণমূলই। ধারেকাছে নেই বিজেপি (BJP)। বাম এবং কংগ্রেসের সম্মিলিত প্রচার কর্মসুচিও তৃণমূলের থেকে অনেকটাই কম। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এমন তথ্যই মিলছে।
বাংলার ভোটে বরাবরই দেশের অন্য প্রান্তের তুলনায় মাতামাতি বেশি। জনগণের অংশগ্রহণও বেশি। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ভোটের হারে যেমন দেশের অন্য সব রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে বাংলা, তেমনি প্রচারের ক্ষেত্রেও এ রাজ্যই দেশের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে। কমিশন (Election Commission) সূত্রের খবর, বাংলায় কর্মসূচি করতে চেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের তরফে ১ লক্ষ ১৯ হাজার ২৭৬ আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ৯৫ হাজার আবেদনের অনুমতি দেওয়া হয়।
এই ৯৫ হাজার কর্মসূচির মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মসূচি করেছে রাজ্যের শাসকদলই। কমিশনের হিসাব বলছে, প্রচার পর্বে তৃণমূল একাই ৪৫ হাজার ৮৬০টি প্রচার কর্মসূচি করেছে। দৈনিক হিসেবে তা গড়ে ৬১১টি। সে তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে বিজেপি। প্রচারপর্বে বিজেপি করেছে মোট ২১ হাজার ৬২৯টি কর্মসূচি। দৈনিক হিসাবে গড়ে ২৮৮টি। সিপিএম (CPIM) করেছে ১৭ হাজার ৪টি রাজনৈতিক কর্মসূচি। কংগ্রেসের কর্মসূচির সংখ্যা মাত্র ১৬৯৭টি। আবার প্রচারের কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহারেও এগিয়ে থেকেছে তৃণমূলই। ভোটগ্রহণ পর্বে রাজ্যের শাসকদলের ৫২৩টি সংশ্লিষ্ট আবেদন মঞ্জুর করেছে কমিশন। বিজেপির ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা ১২৪। কংগ্রেস দু’বার হেলিকপ্টার ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছিল।
রাজ্যে বিজেপির তরফে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) প্রচারে এসেছেন, তেমনি এসেছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। এসেছেন যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো ভিনরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। এর বাইরে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা চুটিয়ে প্রচার করেছেন। পালটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মমতার প্রচার সভা ও রোড-শোয়ের মিলিত সংখ্যা ১০৭ আর অভিষেকের ৭২। এর বাইরে তৃণমূলের তারকা প্রচারকরা বহু প্রচার সভা করেছেন।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন