আর্কাইভ কনভাটার ঢাকা, সোমবার, মে ১৩, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Logo

Parliament election

বাগামারায় সহিংসতা বন্ধে দুই প্রার্থীর অঙ্গীকার

Bijoy Bangla

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:২০ এএম

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি এনামুল হক। তাদের সমর্থকদের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল, তা নিয়ে এ আসনে প্রায় প্রতিদিনই সহিংসতা লেগেছিল। অবশেষে বাগামারায় সহিংসতা বন্ধে দুই প্রার্থীই অঙ্গীকার করলেন। হাতে হাত রেখে দুজন সুষ্ঠ ভোটেরও প্রতিশ্রুতি দেন।সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তারা এ অঙ্গীকার করেন। দুজনের উত্তেজনা চলছিল ভোটের শুরু থেকেই। একপক্ষ আরেকপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিলেন। এ পরিস্থিতিতে দুই প্রার্থীকে একজন করে গানম্যানও দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু পরিস্থিতি আরও উত্তপ্তই হচ্ছিল। ঘটছিল হামলা-মামলার ঘটনাও। নৌকার সমর্থকদের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শেষে বাগামারায় সহিংসতা বন্ধে দুই প্রার্থীর অঙ্গীকার করেন। হাতে হাত রেখে দুজন সুষ্ঠ ভোটেরও প্রতিশ্রুতি দেন।

সবশেষ রোববার সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এ আসনের টানা তিনবারের এমপি এনামুল হকের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। মাথা ফেটে যায় কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী এনামুলের দুই কর্মীর। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ নৌকার প্রার্থীর তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। বাগমারার এমন উত্তেজনা নিরসনে সোমবার বিকালে দুই প্রার্থীকে নিয়ে বসেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।


বাগমারায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে দুই প্রার্থীকে নিয়েই বসা হয়। এ সময় রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে দুইপক্ষই নির্বাচনে কোন সহিংসতায় না জড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। রাগ-অভিমান ভুলে তারা একে-অপরের সঙ্গে আলীঙ্গন করেন। তখন এ দৃশ্যের ছবিও তুলে রাখা হয়।

আবুল কালাম আজাদ বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র। তিনিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের চার নেতা এবার দলের মনোনয়ন পেতে একজোট হয়েছিলেন। বর্তমান এমপি এনামুলকে বাদ দিয়ে তাদের মধ্যে যে কোন একজনকে তারা প্রার্থী করার দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত আবুল কালাম আজাদ মনোনয়ন পান, আর ছিটকে যান তিনবারের এমপি এনামুল।

আবুল কালাম আজাদ তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর এনামুল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তারপরেও দীর্ঘ সময় তাদের মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল দলের মনোনয়ন চাওয়াকে কেন্দ্র করেই। অবশেষে তারা এক টেবিলে বসলেন রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, ‘ভোট শুরুর পর থেকেই দুই প্রার্থী একে-অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করছিলেন। এ জন্য আমরা দুই প্রার্থীকে নিয়েই বসেছিলাম। তাদের বলেছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তাদের কোন কর্মকাণ্ডের জন্য যেন নির্বাচন বিতর্কিত না হয়। তারা বলেছেন যে, তাদের কিছু অতি উৎসাহী কর্মী-সমর্থক অনাকাক্সিক্ষত কিছু ঘটনা ঘটিয়েছে। এ রকম আর হবে না। তাদের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

google.com, pub-6631631227104834, DIRECT, f08c47fec0942fa0